এবার পটিয়ায় ত্রাণ চাইতে গিয়ে ইউপি সদস্যের মার খেল দিনমজুর

সাতকানিয়ার পর এবার পটিয়ায় ত্রাণ চাইতে গিয়ে ইউপি সদস্যের মার খেল এক দিনমজুর।
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার শোভনদন্ডি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রসিদাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সরকারি ত্রাণ চাওয়ায় মিজানুর রহমান নামের ওই ব্যক্তি স্থানীয় ইউপি সদস্য ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, সারাদেশের মত পটিয়ায়ও করোনাভাইরাসের কারণে দোকানপাট ও জনসমাগম বন্ধ রয়েছে। জনসাধারণের চলাচলও একেবারে সীমিত করা হয়েছে। এ অবস্থায় ও ইলেকট্রনিকশিয়ান মিজানুর রহমান দেড়মাস যাবত বেকার। আশেপাশের বাড়ির অনেকেই সরকারি বেসরকারি অনুদানের চাল ডাল পেলেও মিজানের কপালে কিছুই জোটেনি। অবশেষে বাধ্য হয়ে শুক্রবার (১৫ মে) বিকালে তার নিজ এলাকা উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের (ওয়ার্ড নম্বর-২) ইউপি সদস্য মাহাবুবুল কবিরের কাছে যান অনুদানের তালিকায় নাম তুলতে। তালিকায় নামের বদলে মারধরের শিকার হয়েছেন বলে মিজান অভিযোগ করেছেন।

মিজান বলেন, ‘আমার সামর্থ্য নেই যে আমি তার সাথে টেক্কা দিয়ে মামলা মোকদ্দমা চালাতে পারব। তাই আমি থানায় অভিযোগ করিনি। তবে সাথে সাথে চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘৬ সদস্যের পরিবার নিয়ে তিনি খুব কষ্টে আছি। আমাদের জন্য ভাতা বা ত্রাণ নেই। বাধ্য হয়ে তার কাছে গিয়েছি। অকথ্য গালিগালাজ মারধরই পেলাম। তাদের বিচার হয় না।’

এ বিষয়ে জানতে ইউপি সদস্য মাহাবুবুল কবিরের নাম্বারে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শোভনদন্ডী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. এহছানুল হক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‌‘মিজান বা ইউপি সদস্য কবির কেউ আমার কাছে আসেনি। তবে মিজান ফোন করে বলেছে তার ভাইকে ও তাকে মারধর করেছে। মিজান সমস্যায় থাকলে আমি অনুদানে তার নাম তালিকাভুক্ত করব। সে পরবর্তীতে সহযোগিতা পাবে। মেম্বার কী আর ত্রাণ দিতে পারবেন?’

মারধরের কথা জিজ্ঞেস করলে চেয়ারম্যান বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘মেম্বার ও মিজানের জায়গা সম্পত্তির ঝামেলা আছে। সেটি নিয়েই মারপিট হয়েছে। শোভনদন্ডি ইউনিয়ন পরিষদে তিনজন মেম্বার এমনই। তাদের মধ্যে মাহবুবুল কবির একজন। তাকে পরিষদে তেমন আসতে দেওয়া হয় না।’

এ বিষয়ে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা জাহান উপমা বলেন, ‘আমি বিষয়টি আপনার জানতে পেরেছি। এটি খতিয়ে দেখা হবে এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!