এবার তদন্তের মুখে টিকা জালিয়াত রবিউলের এক সহযোগী

অবৈধভাবে টিকা দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত সেই রবিউল হোসেনের সহযোগী পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে এবার গঠিত হল নতুন তদন্ত কমিটি।

বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সব্যসাচী নাথ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়েছে।

পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থোপেডিক) ডা. সিরাজুল ইসলামকে সভাপতি করে গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব হলেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সাদিয়া আকতার। অপর সদস্য হলেন মেডিকেল অফিসার ডা. তানভীর আহমেদ।

আগামী দুই কর্মদিবসের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন সুপারিশসহ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, ‘পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী সাজ্জাদ হোসেন, হাবিলাসদ্বীপ ১ নং ওয়ার্ড (সাবেক) নিজ কর্তব্যের পাশাপাশি রবিউল হোসেনকে এমটি ইপিআই (সাময়িক বরখাস্ত) সহযোগিতা করার জন্য পত্র জারি করা হয়। সাবেক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তনয় তালুকদারের স্বাক্ষরের প্রেক্ষিতে এটা করা হয়। উক্ত আদেশে হাজিরা খাতায় নিয়মিত উপস্থিতির স্বাক্ষরে অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হয়। এর সুষ্ঠু তদন্তের নিমিত্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হল।’

এর আগে বুধবার (১১ আগস্ট) হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট রবিউল হোসেনের স্ত্রী কুলসুমা আকতারের বিরুদ্ধেও ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর জালিয়াতির এই অভিযোগ তদন্তে গঠিত কমিটির প্রধান করা হয়েছে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. প্রবাল চক্রবর্তীকে। এছাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. সাদিয়া আক্তারকে কমিটির সদস্য সচিব এবং আশিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের সহকারী সার্জন ডা. রাজীব দে’কে সদস্য করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) মো. রবিউল হোসেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে অনুমতি না নিয়ে উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নে দুইদিনব্যাপী টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত হন রবিউল হোসেন। অভিযোগ ওঠে, রবিউলের স্ত্রী স্বাস্থ্য সহকারী কুলসুমা আকতার অনুপস্থিত থাকলেও রবিউল নিজেই হাজিরা দিয়ে দিতেন।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!