এবার জামাই-শ্বশুর/ ১৯৬৫ ইয়াবা নিয়ে কোতোয়ালীর হাতে ধরা

স্বামী-স্ত্রী, ভাই-ভাই, পিতা-কন্যার পর এবার ইয়াবা নিয়ে আটক হলেন জামাই-শ্বশুর। টেকনাফ থেকে জামাই ইয়াবার চালান সংগ্রহ করে চট্টগ্রামের হালিশহরে আনছিলেন জামাইয়ের কাছে। তারপর জামাই এসব ইয়াবা খুচরা বাজারে বিক্রি করতেন। পরিকল্পনা ছিল এরকমই। কিন্তু কোতোয়ালী থানা পুলিশের একটি টিমের হাতে মাঝপথেই আটক হলেন জামাই-শ্বশুর। আর এতে ভেস্তে গেল জামাই-শ্বশুরের যৌথ ব্যবসা।

রোববার (১৬ জুন) রাত সাড়ে নয়টার দিকে নগরীর স্টেশন রোড ও হালিশহরে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটকরা হলেন টেকনাফের ইউসুফ প্রকাশ ইউসুফ জালাল (৫০) এবং তার মেয়ের জামাই লোহাগাড়ার আব্দুর রহিম রাজু প্রকাশ বার্মাইয়া রাজু (৩০)। শ্বশুর টেকনাফে মাছ ধরার ট্রলারে চাকরি করেন আর জামাই চট্টগ্রাম শহরে সিএনজি অটোরিকশা চালায়।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন, ‘কোতোয়ালী থানার পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন বাগদাদ হোটেলের গলির মুখে ভাসমান মোবাইল দোকানের সামনে থেকে কৌশলে ইউসুফ প্রকাশ ইউসুফ জালালকে আটক করা হয়। তার দেহ তল্লাশি করে পরনের লুঙ্গির ভেতর থেকে টিস্যু ও স্ক্যাচটেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ১০টি প্যাকেট পাওয়া যায়। যা খোলার পর নয়টি প্যাকেটে ২০০ পিস ও অপর একটিতে ১৬৫ পিসসহ মোট এক হাজার ৯৬৫ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ছয় লাখ টাকা।’

ওসি বলেন, ‘ইউসুফ পুুুুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, ইয়াবাগুলো কক্সবাজার জেলার টেকনাফের মো. আয়াছ (৩১) নামে একজন থেকে সংগ্রহ করেছেন। এসব ইয়াবা হালিশহরের বাসিন্দা আব্দুর রহিম রাজুর কাছে বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন। একথা জানার পর কৌশলে ফাঁদ পেতে লোহাগাড়ার বাসিন্দা রাজুকেও আটক করা হয়। পরে তারা দুজনেই স্বীকার করেছেন, এসব দুজনে মিলেই ইয়াবা ট্যাবলেটের এই ব্যবসা করছিলেন।’

এডি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!