এবার চমেকের চিকিৎসক-নার্সদের জন্য নোবেল চাইলেন মেয়র নাছির

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের (চমেক) চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য নোবেল পুরস্কার চেয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, ‘সীমিত জনবল ও অবকাঠামোয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে আমাদের যে সব ডাক্তার-নার্সগণ সেবার কাজে নিয়োজিত তাদেরকে তো নোবেল পুরস্কার দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।’
এর আগে গত রোববার আওয়ামী লীগের একটি ঘরোয়া বৈঠকে মেয়র মন্তব্য করেন— ‘প্রধানমন্ত্রীকে নোবেল বঞ্চিত করতে বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরারকে হত্যা করা হয়’।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে চমেক হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের ১৫ শয্যার সিসিইউ-২ স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাহের ব্রাদার্স লিমিটেডের সৌজন্যে সিসিইউ-২ ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে।

মেয়র নাছির বলেন, ‘চমেক হাসপাতালের অনুমোদিত শয্যা সংখ্যা ১৩শ। কিন্তু তার তুলনায় জনবল অনেক অনেক কম। জনবল কাঠামো যা অনুমোদিত তার অনেকগুলো পদ শূন্য আছে। এই সীমিত জনবল দিয়ে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার রোগীর সেবা তারা দিচ্ছেন। আর হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন আরো তিন হাজারের বেশি রোগীকে সেবা দিতে হয়। আজ যে বিভাগের এই অনুষ্ঠান, সে বিভাগের (হৃদরোগ) বিভাগীয় প্রধান একজন সহোযোগী অধ্যাপক। অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ বিভাগেও অধ্যাপক নেই।

হাসপাতালের সংকট তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, ‘অনেকেই সংবাদ পরিবেশন করেন করিডোরে কেন রোগী রাখায় হয়। যদি ১৩শত আসনের বাড়তি রোগী ভর্তি নেওয়া না হয় তবে সেবার মান বাড়বে। তখন যারা ভর্তি হতে পারবে না তারা যাবে কোথায়? প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যয় বহনতো সবার পক্ষে সম্ভব নয়। তখন চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু ছাড়া গরীব মানুষগুলোর আর কোন গতি থাকবে না।’
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহসিন উদ্দিন আহমেদ, বিএমএ চট্টগ্রামের সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খান, মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ, হৃদরোগ বিভাগের প্রধান ডা. প্রবীর কুমার দাশসহ বিভাগের শিক্ষক ও চিকিৎসকবৃন্দ।

এফএম/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!