এবার ই-পাসপোর্ট মিলবে কক্সবাজার ও তিন পার্বত্য জেলায়

কক্সবাজার ও তিন পার্বত্য জেলায় শুরু হচ্ছে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট বা ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম। বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি এবং চাঁদপুর ও নারায়ণগঞ্জ জেলায় একযোগে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

উদ্বোধনের পর পাসপোর্টপ্রত্যাশীরা নিয়ম অনুযায়ী অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ই-পাসপোর্ট আবেদনের ওয়েব লিংক খুলে দেওয়া হবে। এরপর থেকে http://www.dip.gov.bd/ ওয়েবসাইটে অথবা https://www.epassport.gov.bd/landing অ্যাড্রেসে গিয়ে আবেদন করতে পারবেন ই-পাসপোর্ট প্রত্যাশীরা।

গত ১০ নভেম্বর থেকে চাঁদপুরসহ দেশের সব জেলায় ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট বা ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালুর ঘোষণা দিয়েছিল পাসপোর্ট অধিদফতর। তবে নানা সীমাবদ্ধতার কারণে সেই সময়ে তা চালু করা যায়নি। দেরিতে হলেও ৬টি জেলায় একযোগে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম উদ্বোধন হচ্ছে।

কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি পাসপোর্ট অফিসে ই-পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় সকল মেশিন, মালামাল ও সফটওয়্যার ইতোমধ্যে স্থাপন করা হয়েছে। এই কার্যক্রমের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণও দিয়েছে ঢাকা থেকে যাওয়া বিশেষ টিম।

ই-পাসপোর্ট বিভিন্ন ক্যাটাগরির হবে। ৫ বছর ও ১০ বছর মেয়াদি এসব পাসপোর্টের বিভিন্ন ধরনের পৃষ্ঠার জন্য ভিন্ন ভিন্ন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। ই-পাসপোর্টের জন্য অন্যান্য কাগজপত্রের পাশাপাশি ফিঙ্গার প্রিন্ট ও আইরিশ (চোখের মণি শনাক্তকরণ) গ্রহণ করা হবে।

ই-পাসপোর্টগুলো তৈরি হবে ঢাকা থেকে। সেখানে প্রতিদিন ই-পাসপোর্টের ক্যাপাসিটি আছে ২০ হাজারের মতো। তবে সারাদেশে প্রতিদিন আবেদন পড়ছে সাড়ে ৫ থেকে ৬ হাজার পর্যন্ত। অর্থাৎ যে পরিমাণ ডেলিভারি দেওয়ার ক্ষমতা আছে আবেদন তার থেকে কম। সুতরাং ফি অনুযায়ী যে সময় নির্ধারণ করা আছে সে সময়ের মধ্যেই গ্রাহকরা খুব দ্রুতই ই-পাসপোর্ট পাবেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

প্রসঙ্গত, দেশে ২২ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেন দেশের প্রথম ই-পাসপোর্ট। নিজের নামে ইস্যু করা ই-পাসপোর্ট গ্রহণ করে বিশ্বের ১১৯তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট বিতরণের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর জানিয়েছে, ই-পাসপোর্টের পাশাপাশি এমআরপিও চলবে। এই মুহূর্তে ছয় মাসের বেশি মেয়াদ রয়েছে এমন এমআরপিধারীদের ই-পাসপোর্ট দেওয়া হবে না। মেয়াদ শেষে এমআরপি নবায়নের জন্য আবেদন ও নির্ধারিত ফি জমা দিলেই তারা পাবেন ই-পাসপোর্ট।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!