এপ্রিলে গড়াতে পারে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের ভোট জানুয়ারিতে

ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে আগামী জানুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হলেও ঝুলে গেল চট্টগ্রাম। তবে নির্বাচন কমিশন ইঙ্গিত দিয়েছে, যেহেতু চট্টগ্রাম নির্বাচন উপযোগী হবে ফেব্রুয়ারি মাসে, সে কারণে আগামী মার্চে বা তার পরের মাসে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের জুলাইয়ে।

ঢাকা ও চট্টগ্রামে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশনের বৈঠক শুরু হয়ে। ওইদিন সন্ধ্যায় বৈঠকটি মুলতবি করা হয়। এরপর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে রোববার (৩ নভেম্বর) সকালে ওই মুলতবি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর বলেন, ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপযোগী হবে ফেব্রুয়ারি মাসে। যেহেতু এখনও সময় হয়নি তাই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। মার্চের শেষ বা তার পরে নতুন ভোটার নিয়ে হালনাগাদ তালিকার মাধ্যমে এ সিটিতে ভোট হবে।’

ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি পরীক্ষা এবং এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সময়সূচি নির্ধারণ করবে কমিশন।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ— এই দুই সিটি করপোরেশনে নির্বাচন প্রসঙ্গে জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর জানান, ‘আগামী ১৫ নভেম্বর ঢাকা উত্তর ও ১৮ নভেম্বর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপযোগী হবে। এরপর যেকোনও সময় নির্বাচনের তফসিল হবে। নভেম্বরের ১৮ তারিখের পর যেকোনো দিন এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। চলতি ভোটার তালিকা দিয়ে ইভিএমের মাধ্যমে এই দুই সিটিতে ভোটগ্রহণ করা হবে।’

জানুয়ারিতে একই দিনে এই দুই সিটি করপোরেশনে ভোট করা হবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, জানুয়ারির মাঝামাঝি বা শেষের দিকে ভোট হতে পারে।

স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন অনুযায়ী, পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার ১৮০ দিন আগে যে কোনো সময় ভোট করতে হবে। ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল একসঙ্গে চট্টগ্রাম, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

চট্টগ্রাম সিটিতে প্রথম সভা হয় ২০১৫ সালের ৬ আগস্ট। অন্যদিকে ঢাকা উত্তর সিটিতে প্রথম সভা হয় ওই বছরের ১৪ মে এবং দক্ষিণ সিটিতে ১৭ মে। এ হিসেবে চট্টগ্রাম সিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের জুলাইয়ে। ঢাকা উত্তরের ক্ষেত্রে এই মেয়াদ থাকছে ২০২০ সালের ১৩ মে পর্যন্ত; আর দক্ষিণে ওই বছরের ১৬ মে পর্যন্ত।

নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সায় রয়েছে। এখন ভোট করার বিষয়ে নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্বিন্যাস, ভোটার তালিকা, মেয়াদোত্তীর্ণের আগের সময় পরীক্ষা সূচি সার্বিক প্রস্তুতির তথ্য উপস্থাপন করা হবে। সব পর্যালোচনা করে উপযুক্ত সময় বিবেচনা করবে ইসি।

আসছে জানুয়ারিতে হালনাগাদে নতুন ভোটারদের খসড়া তালিকা প্রকাশের সময় নির্ধারিত রয়েছে। নতুনদের নিয়ে ভোট করতে গেলেও দেরি করতে হবে। সেক্ষেত্রে ৩১ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ, ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি পরীক্ষা, এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ভোটের সময়সূচি নির্ধারণ করবে কমিশন।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!