এনআরসিতে বাংলাদেশের উদ্বেগের কোনও কারণ নেই

আশ্বস্ত করলেন ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব শ্রিংলা

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী ভারতে এনআরসি হচ্ছে, এর সাথে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের জনগণের কোন ধরনের সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। তিনি আশ্বস্ত করেছেন, বাংলাদেশের জনগণের ওপর ওই প্রক্রিয়ার কোনো প্রভাব থাকবে না।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার বাংলাদেশ সফর শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত বিবৃতি দিয়েছে ভারতীয় দূতাবাস। চট্টগ্রামের ভারতীয় দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে সফরের বিভিন্ন বিষয়সহ সাম্প্রতিক বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়। মুজিববর্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর চূড়ান্ত করতে ঢাকায় এসেছিলেন শ্রিংলা।

পররাষ্ট্র সচিবের উদ্ধৃতি দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শুধু আসাম রাজ্যে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি হালনাগাদকরণ প্রক্রিয়া চলছে। আদালতের নির্দেশেই মূলত এ কর্মকাণ্ড করা হচ্ছে। এটি ভারতের অভ্যন্তরীণ একটি প্রক্রিয়া। নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পরেও যারা অন্যায়ভাবে বঞ্চিত হয়েছেন বলে মনে করেন তাদের জন্য মামলা করার এবং নাগরিকপঞ্জিতে অন্তর্ভুক্তি পেতে অনেকগুলি বিচারিক প্রতিকার রয়েছে। অতএব, বাংলাদেশের উপর কোনও প্রভাব পড়বে বলে এই মুহূর্তে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। নাগরিকত্ব সংশোধন আইনটি এমন একটি আইন যা ভারতে কয়েক দশক ধরে বসবাসরত অ-ভারতীয় নাগরিকদের মৌলিক অধিকার এবং সরকারি পরিষেবা দেওয়ার জন্য করা হয়েছে। এটি ভারতে বসবাসরত রাষ্ট্রহীন মানুষের সংখ্যা হ্রাস করার একটি প্রচেষ্টা।’

সীমান্ত হত্যা নিয়ে এতে বলা হয়, ‘আমাদের মধ্যকার ৪১০০ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা একটি জটিল সীমান্ত কারণ এটি জনবহুল এলাকা ছাড়াও বন, নদী এবং মাঠের মধ্য দিয়েও গেছে। দীর্ঘদিনের সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের কারণে সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ কর্মকাণ্ডের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে যেমন মাদক ও গবাদি পশু চোরাচালান রয়েছে, তেমনি রয়েছে শুল্ক এবং সাধারণ বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণের আওতায় থাকা পণ্য চোরাচালানও। দুই দেশেরই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যকার নীতি হচ্ছে সীমান্তে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধ করার পাশাপাশি সীমান্তে শান্তি ও বন্ধুত্বপূর্ণ স্থিতি বজায় রাখার জন্য একটা আন্তরিক ও সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক চর্চা করা। যদিও সীমান্তরক্ষী বাহিনী কখনোই অপরাধ দমনের জন্য সুসম্পর্কের উপর নির্ভর করতে পারে না, কারণ মানুষ সেখানে অপরাধপ্রবণ।’

তিস্তা সম্পর্কে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তির একটি দ্রুত ও পারস্পরিক-গ্রহণযোগ্য সমাধানে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা জানি, সীমান্তের উভয় পাশেই এটি একটি আবেগের বিষয়, তবে এই বিষয়ে আমাদের সরকারের প্রতিশ্রুতি কমেনি। খুব শীঘ্রই তিস্তা চুক্তিতে ভালো কোন খবর রয়েছে। যা দুই দেশের জন্য খুশির।’

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!