এনআইডি জালিয়াতি, আরও দুই ইসি কর্মচারীর ৭ দিনের রিমান্ড

মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ভোটার করা ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাইয়ে দেওয়ার মামলায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আরও ২ কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। বুধবার (১৩ নভেম্বর) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার জাহানের আদালতে তাদের সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত শুনানি শেষে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী মো. আবুল খায়ের ভূঁইয়া ও মীরসরাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী আনোয়ার হোসেনকে আটক করেছিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়া। আবুল খায়ের ভূঁইয়া কুমিল্লার সদর উপজেলার ক্যান্টনমেন্ট এলাকার আনু মিয়া ভূঁইয়ার ছেলে ও আনোয়ার নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের আরব আলীর ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার মো. শহিদুল্লাহ। তিনি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‌‘আমরা তদন্তে আবুল খায়ের ভূঁইয়া ও আনোয়ার হোসেনের সম্পৃক্ততা পেয়েছি। তাদের আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে আদালত ৭দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।’

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজেশ বড়ুয়া বলেন, ‘এনআইডি জালিয়াতি সংক্রান্ত মামলায় এ পর্যন্ত তিনজন আদালতে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। তাদের জবানবন্দিতে আবুল খায়ের ভূঁইয়া ও আনোয়ার হোসেনের নাম উঠে আসে। এ দুজন সরকারি কর্মচারী হওয়ায় ‘সরকারি চাকরি আইন-২০১৮’ এর ৪১ ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পূর্বানুমতি নিয়ে তাদের আমরা গ্রেপ্তার করি।’

প্রসঙ্গত, ১৮ আগস্ট নির্বাচন কমিশনে জাতীয় পরিচয়পত্র নিতে আসা লাকি আকতার নামের এক রোহিঙ্গা নারী আটক হলে রোহিঙ্গাদের এনআইডি পাওয়ার ঘটনাটি আলোচনায় আসে। পরে ইসির পক্ষ থেকে বিষয়টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকাভুক্ত করা ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতির ঘটনায় বিভিন্ন সময়ে নির্বাচন কমিশনের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর শাহীন, জাহিদ, পাভেল, অফিস সহায়ক জয়নাল, মোস্তফা ফারুকসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। অপর দু’জন হলেন বিজয় দাস ও তার বোন সীমা দাস। সীমা চট্টগ্রাম সরকারি জেনারেল হাসপাতালের অস্থায়ী আয়া হিসেবে কর্মরত রয়েছেন ও তার ভাই পেশায় গাড়ি চালক।

এফএম/এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!