এনআইডিসহ সব ডকুমেন্ট জাল, অবশেষে গ্রেপ্তার প্রতারক
এনআইডিসহ সব ডকুমেন্টই জাল তার! অবশেষে গ্রেপ্তার সেই প্রতারক
সেলিম আজাদ। তার পিতার প্রকৃত নাম মৃত মো. ইসহাক ও মা ফেরদৌস বেগম। এই পরিচয়ে তিনি দুটি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। পূবালী ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার সময় পিতা-মাতার নাম পরিবর্তন হয়। পিতা ইসহাকের নাম পরিবর্তন করে হয়ে যায় হাজী নুরুল আবছার ও মা ফেরদৌস বেগমের নাম বদলে হয়ে যায় আয়শা বেগম। পুলিশ ইসহাকের পুত্রকে গ্রেপ্তার করতে গেলে তিনি পরিচয় দিতেন নুরুল আবছার তার পিতার নাম। নুরুল আবছারের পুত্র সেলিম আজাদকে গ্রেপ্তার করতে গেলে তিনি ইসহাকের পুত্র বলে পরিচয় দিতেন!
কোতোয়ালী থানার হাত থেকে তার শেষ রক্ষা হয়নি সেলিমের। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ভোরে চট্টগ্রামের পটিয়ার সেনপাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে পাঁচটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। সিটি ব্যাংক ও ওয়ান ব্যাংক থেকে ১০ লাখ করে এবং পূবালী ব্যাংক থেকে আট লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। ঋণ নিয়ে অর্থ আত্মসাতের মামলায় আদালতে তার সাজাও হয়।
জানা গেছে পূবালী ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার সময় তিনি ভুয়া জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করে তার বিপরীতে ট্রেড লাইসেন্স ও টিআইএন সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন কাগজপত্র তৈরি করেন। কোতোয়ালী থানাধীন টেরিবাজারের হাজী দুধু মিয়া মার্কেটে মেসার্স ফ্যাশন মেইকার নামের একটি দোকানের মালিক সেলিম আজাদ।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, সেলিম আজাদকে গ্রেপ্তার করতে গেলে তিনি পরোয়ানা দেখতে চাইতেন। পরোয়ানাতে পিতা ইসহাক দেখলে বলতো আমি আবছারের ছেলে। আবার আবছারের ছেলেকে গ্রেপ্তার করতে গেলে পরিচয় দিতো ইসহাকের ছেলে। এভাবে সে আমাদের বিভ্রান্ত করতেন।
গ্রেপ্তার সেলিমকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি মহসীন।
এফএম/এসএস