ইফতারির টেবিলে হালিম না হলেই নয়! স্বাদে গুণে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এ খাবারটি বেশ জনপ্রিয়। পুরো রমজান মাস জুড়ে হালিম বিক্রি হয় নগরীর প্রায় সব ইফতারির দোকানে। স্বাদের দিক থেকে প্রায় এক যুগ ধরে নগরীর রোজাদারদের ইফতারে বিশেষ জায়গা দখল করে আছে রিগ্যাল হোটেলের বিফ হালিম।
সরেজমিন গেলে সেখানে উপস্থিত ক্রেতারা বলেন, ইফতারে অপরিহার্য উপাদান হিসেবে ঠাঁই করে নেয়া এই হোটেলের বিফ হালিমের চাহিদার কোন কমতি নাই। এখানে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে তৈরি হয় বিফ ও দেশি মুরগির হালিম।
রিগ্যাল হোটেলের স্বত্বাধিকারী মির্জা ইয়াকুব বেগ বলেন, ‘এক যুগ ধরেই আমাদের বিফ হালিম জনপ্রিয়। আমরা দুই ধরনের হালিম তৈরি করে থাকি দেশি মুরগি আর গরুর মাংসের হালিম। দুইটাই খুব জনপ্রিয় তার মধ্যে বিফ হালিমটা বেশি বিক্রি হয়ে থাকে। আমরা সব সময় চেষ্টা করি গুণে-মানে ঠিক রাখতে। আমরা ২৮ পদের দেশি বিদেশি মশলা ব্যবহার করে থাকি। ভিন্ন স্বাদের মসলার ব্যবহার গুণগত মান, স্বাদ ও সুগন্ধে ভূমিকা রাখে। ৭/৮ ধরনের ডাল ও মসলার পরিমিত অনুপাতই আমাদের হালিমকে সুস্বাদু করে।
তিনি আরো বলেন, হালিমের চাহিদা চট্টগ্রামে অনেক বেশি। তাই আমরা ভালো ও স্বাস্থ্যসম্মত হালিম নগরবাসীকে দেয়ার জন্য চর্চা ও পরিশ্রম করে যাচ্ছি। আমাদের হালিম ছোট-বড় পাত্রে বিক্রি করে থাকি । বিফ হালিম কেজি প্রতি ৫০০ টাকা ও দেশী মুরগির হালিম কেজি প্রতি ৬০০ টাকা ধরে বিক্রি করি।
নগরীর মাদারবাড়ির সরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা কামরুল হাসান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, রিগ্যাল হোটেলের বিফ হালিম খুব ভালো তাই বিগত পাঁচ বছর ধরে এখান থেকে বিফ হালিমটা নিতে আসি।পরিবার পরিজন নিয়ে ইফতারিতে খাই।
হালিম কিনতে আসা গ্রামীণফোনের কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, স্বাদ আর মানের কারণেই এ হালিমের চাহিদা ব্যাপক। খুলশী থেকে এখানে হালিম কিনতে এসেছি। গত দশ বছর ধরেই রিগ্যালের বিফ হালিম নিচ্ছি আমি।
দাম বেশি, ওজনে কম বা হালিমের মান নিয়ে ক্রেতাদের অভিযোগ আছে কিনা জানতে চাইলে রিগ্যাল হোটেল এর মালিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, আমরা সব সময় চেষ্টা করি হালিমের স্বাদের মান ঠিক রাখার জন্য। ক্রেতার সাধ্যের সাথে সমন্বয় রেখেই আমরা অন্যদের তুলনায় অনেক কম দামে হালিম বিক্রি করি।
এসএস