এক মঞ্চে হাতে হাত বিপ্লব-আমিন-নদভীর

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় এক মঞ্চে মিললেন তিন আওয়ামী লীগ নেতা। সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন একই মঞ্চে বক্তব্য রাখলেন। সাথে ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ।

সোমবার (৩০ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা, ত্রাণ বিতরণ ও মেজবান অনুষ্ঠানে একই মঞ্চে উপস্থিত হন তাঁরা। দলীয় হাইকমান্ড থেকে ‘নিজেদের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ’ মেটাতে সতর্কবাণীর পর একসাথে দেখা মিললো তাদের।

এক মঞ্চে হাতে হাত বিপ্লব-আমিন-নদভীর 1

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তেব্যে মোছলেম উদ্দিন আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগের পরিবারে একজন কর্মী যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন কুচক্রি মহলের ষড়যন্ত্র সফল হবে না। ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্ব-পরিবারে কিছু কুচক্রি হত্যা করেছিল, শুধু হত্যা করে ক্ষান্ত হয়নি এদেশ থেকে মুছে দিতে চেয়েছিলো বঙ্গবন্ধুর নাম ও নিশানা।

লোহাগাড়া উপজেলায় আলহাজ মোস্তফিজুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে আয়োজিত বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, চট্টগ্রাম-১৫ সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন নদভী।

এক মঞ্চে হাতে হাত বিপ্লব-আমিন-নদভীর 2

ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু খুনিদের বৈধতা দিতে সেদিন নেপথ্যের নায়ক জিয়া রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার না করে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করেছিল। তথ্য প্রযুক্তির কারণে অনেক তথ্য আমাদের সামনে চলে আসছে। বঙ্গবন্ধু খুনিরা ১৯৭৫ সালের ২০ মার্চ জিয়া রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বঙ্গবন্ধু হত্যার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল ষড়যন্ত্রকারীরা। সে সময় জিয়া বলেছিলেন ‘গো অ্যাহেড’।

আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হারিয়ে আজ পুরো জাতি শোকাহত। আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বিশ্বাস করি সবার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আজ আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি শক্তি প্রদর্শনের জন্য নয়, ঐক্যবদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একত্রিত হয়েছি।

সংসদ সদস্য আবু রেজা নদভী বলেন, আজ শক্তি প্রদর্শন বা প্রতিযোগিতার বিষয় নয় আজ আমরা শপথ নিতে চাই আজকের শোককে শক্তিতে পরিণত করার প্রত্যায় নিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলের জন্য কাজ করতে হবে। নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যার সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সুখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সহযোগিতা করতে হবে। নেত্রী মনোনয়ন যাকেই দিবেন তার পক্ষে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বক্তারা।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন হিরুর সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক বিজয় কুমার বড়ুয়া, দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা হারুন লুবনা, সাতকানিয়া পৌর মেয়র ও দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. জোবায়ের, সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এম এ মোতালেব চৌধুরী সিআইপি, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মুহাম্মদ জহির উদ্দিন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি রিদওয়ানুল হক সুজন, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি একেএম আসিফুর রহমান চৌধুরী দলীয় নেতৃবৃন্দ।

কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!