এক ব্যক্তির দুই চাকরি, কলেজের শিক্ষক আবার ইউপি সচিব

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার হেঁয়াকো বনানী কলেজের শিক্ষক কানু কুমার নাথের বিরুদ্ধে এক সঙ্গে দুটি সরকারি চাকরি করার অভিযোগ ওঠেছে। তিনি কলেজে শিক্ষকতার পাশাপাশি মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব পদে চাকরি করেন। দীর্ঘ প্রায় ২৭ বছর ধরেই দুই পদে থেকে বেতন ভাতা গ্রহণ করে আসলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানে এ বিষয়ে। তবে দেরিতে হলেও বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় কানু কুমার নাথকে শোকজ করা হয়েছে বনানী কলেজ থেকে। বিষয়টি জানানো হয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে।

জানা গেছে, ১৯৯৪ সালের ৮ মে ফটিকছড়ির হেঁয়াকো বনানী ডিগ্রি কলেজে বাংলার প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন কানু কুমার নাথ । এর আগে ১৯৯১ সালে থেকে হাটহাজারীর মির্জাপুর ইউপির সচিবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি। তথ্য গোপন করে দীর্ঘদিন কাজ করে আসলেও জানে না দুই কর্তৃপক্ষের উধ্বর্তন কেউই।

গত ২ ফেব্রুয়ারি হাটহাজারীর মির্জাপুর ইউনিয়নের সচিবের স্বাক্ষর করেন বেলাল উদ্দিন নামে ওই অফিসেরই একজন স্টাফ । তখন কানু কুমার নাথের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। হাটহাজারী নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও রুহুল আমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখেন জন্মনিবন্ধন সনদে স্বাক্ষর করছেন ওই বেলাল। পরে ঘটনার তদন্তে বের হয়ে আসে ইউপি সচিব অন্য চাকরিতে ব্যস্ত।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউএনও রুহুল আমিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ওই লোক ছুটির দরখাস্ত দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে। এক ব্যক্তি সরকারি সুযোগ সুবিধা নিয়ে দুটি চাকরি করা অপরাধ। বিষয়টি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

হেঁয়াকো বনানী ডিগ্রি কলেজের পরিচালনা কমিটির একজন সদস্য বলেন, ইতোমধ্যে কানু কুমার নাথকে শোকজ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কলেজের অধ্যক্ষ ফারুকুর রহমান বলেন, কানু কুমার নাথ একজন ধূর্ত প্রকৃতির লোক। তিনি যে দুটি চাকরি করতো আমরা বুঝতেও পারিনি । আগে জানলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারতাম।

এএস/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!