এক ফেসবুক পোস্টের জন্য দফায় দফায় রিমান্ডে আওয়ামী লীগ নেতা সাজ্জাত

বিদ্যুৎ বড়ুয়াকে প্রশ্ন ছুঁড়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস

একটি ফেসবুক পোস্টের জের ধরে প্রথম দফায় পাঁচদিন রিমান্ডে নেওয়ার পর চট্টগ্রামের পুলিশ এবার আরও দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রাম করোনা আইসোলেশন সেন্টারের উদ্যোক্তা সাজ্জাত হোসেনকে।

শনিবার (২৪ জুলাই) তার আগের ৫ দিনের রিমান্ড শেষ হলে পুলিশ তাকে আদালতে সোপর্দ করে আরও ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহানের আদালতে শুনানি শেষে আদালত আরও দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সাজ্জাতকে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানার পুলিশ আরও দুই দিন জিজ্ঞাসাবাদ করবে।

গত ১২ জুলাই আওয়ামী লীগ নেতা সাজ্জাত তার ফেসবুক আইডিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ডাক্তার বিদ্যুৎ বড়ুয়াকে ‘ভুয়া জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ!’ আখ্যা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দেন বলে অভিযোগ করা হয়।

এই পোস্টের জের ধরে ঢাকায় আটকের পর সোমবার (১৯ জুলাই) থেকে চট্টগ্রামের পুলিশ পাঁচদিনের রিমান্ডে নিয়েছিল সাজ্জাত হোসেনকে।

১৮ জুলাই ভোর সাড়ে তিনটার দিকে ডিএমপির রূপনগর থানার সহায়তায় তার বোনের বাসা থেকে আটক করে তাকে মিন্টু রোডের ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও তার ছোট ভাই আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়ার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘মানহানিকর স্ট্যাটাস’ দেওয়ার অভিযোগে গত ১৩ জুলাই চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালী থানায় ও জেলার সাতকানিয়া থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয় সাজ্জাতের বিরুদ্ধে।

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানায় সাজ্জাত হোসেনসহ দুজনের নামে মামলা করেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ও সাতকানিয়া পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ জোবায়ের। একইদিন সিএমপির কোতোয়ালী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাজ্জাত হোসেনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করেন চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের স্বেচ্ছাসেবক শেখ মোহাম্মদ ফারুক চৌধুরী।

গ্রেপ্তার হওয়ার আগে আওয়ামী লীগ নেতা সাজ্জাত হোসেন সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘আমি বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। ছোটবেলা থেকে অন্যায়ের প্রতিবাদ করে আসছি। বিএমডিসি স্বীকৃত ডিগ্রি না থাকার পরও নিজেকে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ দাবি করে আসছেন বিদ্যুৎ বড়ুয়া। তিনি ফিল্ড হাসপাতালের আয়-ব্যয়ের হিসাব দেবেন বলে ফেসবুকে জানালেও এখনও দেননি। নিয়ম না মেনে ৪৫ বছর বয়সে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরিচালক পদে চাকরি নিয়েছেন। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করায় বড় ভাইয়ের ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমার বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ বড়ুয়া মামলা করিয়েছেন বলে শুনেছি। বছরখানেক আগে ফিল্ড হাসপাতালের ভেতর অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করায় একইভাবে এক ছেলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন বিদ্যুত বড়ুয়া।’

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!