এক পাসপোর্টের খোঁজে গিয়ে মিলল ২৭০ পাসপোর্ট, প্রতারক ট্রাভেল এজেন্সির কাণ্ড

একজন ব্যবসায়ীর পাসপোর্ট আটকে রেখেছিলেন তারেক কবির নামের এক ব্যক্তি। ওই ব্যবসায়ী বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করলে পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে দেখে সেখানে রয়েছে আরও ২৭০টি পাসপোর্ট। জব্দ করা পাসপোর্টগুলো চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বান্দরবানসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের।

মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানার মোজাফ্ফর নগর ও ডবলমুরিং থানার পাঠানটুলী এলাকার খান বাড়ি থেকে এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় দুজনকে। এরা হলেন আগ্রাবাদ এলাকার রাহাত ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুর নামের প্রতিষ্ঠানের মালিক তারেক কবির (৩৮) ও তার কর্মচারী নুরুল ইসলাম (৪০)। পরে তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রাহাত ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুর নামের প্রতিষ্ঠানটি এর আগে হজ-ওমরাহর নামে মানবপাচারের অভিযোগে কালোতালিকাভুক্ত হয়েছিল।

ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সদীপ কুমার দাশ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, একজন ব্যবসায়ী থানায় এসে তার পাসপোর্ট আটকে রাখার অভিযোগ করে। থানায় জিডি করার পর পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করতে গিয়ে নূরুল ইসলামকে চৌমুহনী থেকে আটক করে ব্যবসায়ীর পাসপোর্ট উদ্ধার করে।

তিনি বলেন, আটক করে থানায় নিয়ে আসার পর জিজ্ঞাসাবাদে নূরুল ইসলাম জানান, তিনি ট্রাভেল এজেন্সি মালিক তারেক কবিরের অফিসে চাকরি করেন। তার কাছ থেকে বাকি তথ্য নিয়ে তারেক কবিরের শ্বশুর আব্দুল করিমের পাঠানটুলীর বাসায় অভিযান চালিয়ে আরও ২৭০টি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়। পরে শ্বশুরের কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে নগরীর খুলশী থানাধীন মোজাফফর নগর এলাকার একটি বাড়ি থেকে তারেক কবিরকে আটক করা হয়।

ওসি সদীপ আরও জানান, আটকের পর মঙ্গলবার দিনভর জিজ্ঞাসাবাদেও তেমন কোনো তথ্য দেননি তারেক কবির। জব্দ করা ২৭০টি পাসপোর্ট কক্সবাজার, বান্দরবান, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের।

ধারণা করা হচ্ছে, রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট তৈরিতে তারেক কবির ও নূরুল ইসলাম সহযোগী ছিলেন। দুজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে তাদেরকে আদালতে চালান দেওয়া হয়েছে বলে জানান ওসি সদীপ।

আইএমই/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!