এক তরুণীকে ‘ধর্ষণ’—হেফাজত নেতা নোমান ফয়েজীর ফেসবুক চ্যাটে প্রেমের ফাঁদে বহু নারী

ধর্ষণের কথা আদালতে মুখ খুলেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া নোমান ফয়েজী।

বিয়ের আশ্বাসে এক নারীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি আদালতে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মে) চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জয়ন্তী রানী রায়ের আদালতে তিনি এই জবানবন্দি দেন।

এর আগে হাটহাজারীতে সহিংসতার দায় স্বীকার করে তিনি স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন।

চট্টগ্রাম আদালতের জেলা পুলিশের কোর্ট পরিদর্শক হুমায়ুন কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জবানবন্দিতে বলেছেন, ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে এক নারীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে চট্টগ্রামের হাটহাজারী নিয়ে আসেন তিনি। সেখানে একটি ভাড়া বাসায় তাঁরা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে থাকতেন। পরে ওই নারী যখন বুঝতে পারেন তাঁকে বিয়ে করবেন না, তখন তিনি চট্টগ্রাম শহরে চলে যান। সেখানেও ফয়েজী গিয়ে আবার বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করেন।

ওই নারী ছাড়াও আরও কয়েকজন নারীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক রয়েছে, যাদের সঙ্গে নিয়মিত মোবাইল ফোনে চ্যাট করতেন বলে জবানবন্দিতে স্বীকার করেছেন এ হেফাজত নেতা।

২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ফেসবুকের মাধ্যমে ওই নারীর সঙ্গে জাকারিয়া নোমান ফয়েজীর পরিচয় হয়। মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে তিনি ওই নারীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে হাটহাজারীতে আসতে বলেন।

প্রসঙ্গত, গত ৫ মে কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে ফয়েজীকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রাম জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

আইএমই/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!