“একুশ এখন সায়্যুজ”

“একুশ এখন সায়্যুজ” 1নিজস্ব প্রতিবেদক : ড্রেনে কুড়িয়ে পাওয়া সেই একুশ এখন সায়্যুজ নামে পরিচিতি লাভ করবে । তার আকিকা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে তাকে নতুন নামে বরন করা হয় । আর এ আয়োজনে ছিল সহস্রাধিক অতিথি, চাটগাঁইয়্যা মেজবানি, উপহারের বন্যা, গান আর নানা আনন্দমুখর আয়োজন। সব কিছুই তাকে ঘিরে।

‘একুশ’-এর আকিকা উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগরীর রূপনগর কমিউনিটি সেন্টারে এই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়েছিল।

শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে একুশের আকিকা অনুষ্ঠান। বর্ণিল এই আকিকা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন আদালতের মাধ্যমে একুশকে জিম্মায় পাওয়া নতুন মা-বাবা নিঃসন্তান দম্পতি ডা. জাকের ইসলাম ও ডা. শাকিলা আক্তার । আকিকার মাধ্যমে শিশু একুশের নতুন নাম রাখা হয়েছে আবদুল খালেক মুহাম্মদ মুজিদ ইসকান্দর সায়্যুজ।

শুক্রবার রাতে আকিকা অনুষ্ঠানে একুশকে পাঞ্জাবি পায়জামা পরিয়ে আলো ঝলমলে মঞ্চে নিয়ে আসেন একুশের বর্তমান মা-বাবা ডা. শাকিলা ও ডা. জাকের। এরপর মঞ্চ ঘিরে শত শত মানুষের ভিড়, সেলফি আর ফটোসেশন চলে ঘণ্টা ধরে।

অনুষ্ঠানে ডা. জাকের বলেন, ‘আমরা আর মনে করতে চাই না একুশ ড্রেনে কুড়িয়ে পাওয়া। একুশ এখন আমাদের সন্তান। আমরা চাই একুশ বড় হয়ে কখনো তার অতীত সম্পর্কে না জানুক। সে আমাদেরই সন্তান। আমরাই তার পিতা-মাতা। তাই আকিকার মাধ্যমে তার নতুন নাম রাখা হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, গত ২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবর শাহ থানার কর্নেলহাট এলাকার লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার সংলগ্ন ড্রেনে এক নবজাতককে দেখতে পায় পথচারীরা। এরপর পুলিশকে খবর দিলে আকবর শাহ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলমগীর শিশুটিকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। একুশের প্রথম প্রহরে ড্রেনে কুড়িয়ে পাওয়ায় আকবর শাহ থানার ওসি শিশুটির নাম রাখেন ‘একুশ’। শিশুটি সুস্থ হয়ে উঠলে অনেকেই তাকে দত্তক নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। পরে বিষয়টি গড়ায় আদালতে।

একুশকে দত্তক নিতে ১৩ জন আবেদন জানালে আদালত শুনানি শেষে একাধিক শর্ত পূরণ সাপেক্ষে শিশুটিকে দত্তক নেন নিঃসন্তান দম্পতি ডা. জাকের ও ডা. শাকিলা আক্তার।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!