একলা পাইয়া বাসের চালক উল্টা পথে টানে!

ঘুমন্ত এক নারী যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে না গিয়ে ভিন্ন পথে যাওয়ার চেষ্টার দায়ে এক বাস চালককে আটকের খবর পাওয়া গেছে।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) হালিশহর নয়া বাজার বিশ্বরোড মোড়ে ওই বাস ড্রাইভারকে আটক করেন মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট জুয়েল রানা। পরে বাস ড্রাইভার ও ভিকটিমকে সিএমপি’র হালিশহর থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন তিনি।

এ বিষয়ে ট্রাফিক সার্জেন্ট জুয়েল রানা চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, পিসি রোডে চলাচল করা ৭ নম্বর রুটের বাসটি (চট্টমেট্টো জ- ১১- ১৯৫৫) নিউ মার্কেট থেকে কর্নেলহাট পর্যন্ত যাত্রী পারাপার করে। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বড়পুলের দিক থেকে আসা একটি বাস গন্তব্যের দিকে না গিয়ে মাঝপথেই রুট পরিবর্তন করে। যেটি নিয়মের মধ্যে পড়ে না। এতে করে সেখানে জ্যামের সৃষ্টি হয়। এজন্য আমি বাস ড্রাইভারের সাথে কথা বলতে গেলে সে আমাকে বাসে উঠতে না দিয়ে দ্রুতগতিতে বড়পুলের দিকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। আমি তখন দৌঁড়ে গিয়ে বাসে উঠে দেখি যাত্রী শূন্য বাসে শুধুমাত্র একটি মেয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় আছে। আমি উনাকে জাগিয়ে দিয়ে জানতে চাইলাম, কোথায় যাবেন? মেয়েটি আমাকে জানান, তিনি অলংকার যাবেন, সেখান থেকে যাবেন নোয়াখালী। তখন ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করি, অলংকার না নিয়ে কোথায় যাচ্ছে? ড্রাইভার এর কোন সদুত্তর দিতে না পারায় আমি বাস ড্রাইভার আর ভিকটিমকে পুলিশ বক্সে নিয়ে আসি। এর মধ্যে বাসের হেলপার পালিয়ে যায়। পরে আমি সিনিয়র স্যারদের সাথে কথা বলে দু’জনকেই হালিশহর থানার সোপার্দ করি।

এ বিষয়ে হালিশহর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বদরুল কবির বলেন, সকালে নয়া বাজার থেকে ঘুমন্ত নারী যাত্রী নিয়ে মাঝপথেই রুট চেঞ্জ করার অভিযোগে এক বাস ড্রাইভারকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে ভিকটিম মেয়েটি জানিয়েছে, তার বাড়ি নোয়াখালী। চাঁদপুরে একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। সে গত রাতে চাঁদপুর থেকে চট্টগ্রাম এসেছে। সকালে নিউ মার্কেট থেকে অলংকার যাওয়ার জন্য বাসে উঠেছিল। সেখান থেকে নোয়াখালী যাওয়ার বাসে উঠার পরিকল্পনা ছিল তার। রাতে না ঘুমানোর কারণে সে বাসে ঘুমিয়ে পড়ে। আর বাস ড্রাইভার জানিয়েছে, যাত্রী না থাকায় কর্নেলহাট না গিয়ে নয়া বাজার থেকে যাত্রী তুলে নিউমার্কেট যাওয়ার উদ্দেশ্যে মাঝপথেই সে গাড়ি ঘুরিয়ে দেয়। ওই যাত্রীকে সে একাধিকবার ডেকেছে। কিন্তু তার ঘুম ভাঙ্গে নি।
এই ঘটনায় ভিকটিম মেয়েটি কোন অভিযোগ না করায় এবং ড্রাইভারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সন্দেহজনক কোন তথ্য না পাওয়ায় ড্রাইভার ও গাড়িটি মালিকের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া ভিকটিম মেয়েটিকে অলংকার পৌঁছে দেয়া হয়েছে, যোগ করেন পরিদর্শক বদরুল কবির।

এআরটি/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!