একদিনে মিয়ানমার থেকে টেকনাফে এসেছে ১০৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ

কক্সবাজারের টেকনাফ স্থল বন্দর দিয়ে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) টেকনাফ স্থল বন্দর দিয়ে আরও এক হাজার ৩০.৭১২ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এনিয়ে চলতি মাসে মিয়ানমার থেকে ১২ হাজার ৩৮.৫২৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হলো। এছাড়া আগস্ট মাস থেকে এ পর্যন্ত ১৫ হাজার ৬৯৫.৮০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। মঙ্গলবার আমদানি হওয়া পেঁয়াজের আমদানি মূল্য ৪ কোটি ৪৮ লাখ ৬২ হাজার ৭১৯ টাকা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ স্থল বন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা আবছার উদ্দিন।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন এতোদিন খালাসের দীর্ঘসূত্রিতার জন্য আমদানিকৃত পেঁয়াজের একটা অংশ বন্দরেই পঁচে নষ্ট হচ্ছিল। তবে দিনে-রাতে খালাসের কাজ চলায় বর্তমানে সে সমস্যা আর নেই। এখন আর পেঁয়াজ নষ্ট হচ্ছে না বলে জানান তারা।

সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও আমদানিকারক এহেতেশামুল হক জানান, ‌‌‌‌সংবাদ মাধ্যম, বন্দর কর্তৃপক্ষ, শুল্ক বিভাগ, প্রশাসনসহ সকলে সময়মতো তৎপর হওয়ায় পেঁয়াজ আমদানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। গত কিছুদিন যাবৎ যেভাবে পেঁয়াজ পঁচে নষ্ট হচ্ছিল এখন আর সে সমস্যা নেই বলেও জানান তিনি।

টেকনাফ স্থলবন্দরের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‌‌বন্দরে এখন (পেঁয়াজ খালাসে) দিনে-রাতে ৬০০ মতো শ্রমিক কাজ করছে। যত দ্রুত সম্ভব পেঁয়াজ খালাসে বন্দর কর্তৃপক্ষ তৎপর রয়েছে। মঙ্গলবার ৫০০ টনের মতো পেঁয়াজ বোঝাই তিনটি ট্রলার বন্দরে ভীড়েছে। রাতেও সেসব ট্রলারের পেঁয়াজ খালাসের কাজ চলছে। নতুন করে কোনো ট্রলার না আসলে বুধবার (২৩ অক্টোবর) আমদানিকৃত সকল পেঁয়াজ খালাস হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।’

এদিকে টেকনাফের স্থানীয় বাজারে কেজি ৭০ টাকা ধরে মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে বলে জানান ভোক্তারা।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!