একদিনে নগরেই ৪ মৃত্যু, তবুও চট্টগ্রামে কমেছে করোনার নমুনা পরীক্ষা

চট্টগ্রামে করোনার নমুনা পরীক্ষা, শনাক্ত ও সুস্থতা কমে গেলেও বেড়ে গেছে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা। সাত দিন আগে গত ১৫ আগস্ট করোনায় একদিনে সর্বশেষ ৪ জনের মৃত্যু দেখেছিল চট্টগ্রাম। গত ২৪ ঘণ্টায় নগরে ৪ জনের প্রাণহানির মধ্য দিয়ে আবারও ভয়ংকর চেহারা দেখালো করোনা। একই সময়ে নমুনা পরীক্ষা কমে ৬৬৮টিতে নেমে আসে। তাতে শনাক্তও কমে ৮৩ জনে চলে আসে। এ দিন সুস্থতার সংখ্যাও ছিল নিম্নমুখী—৪৭ জন।

ফলে নতুন শনাক্তসহ চট্টগ্রামে এখন করোনা রোগীর সংখ্যা ১৬ হাজার ৩৮৭ জন। এর মধ্যে নগরে ১১ হাজার ৬২১ জন এবং উপজেলায় চার হাজার ৭৬৬ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন তিন হাজার ৮৬৬ জন এবং করোনার কাছে হার মেনেছেন ২৫৯ জন। যাদের মধ্যে নগরের ১৮২ জন ও উপজেলার রয়েছে ৭৯ জন।

শনিবার (২২ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এসব তথ্য জানান।

সিভিল সার্জন জানান, চট্টগ্রামের সরকারি তিনটি, বেসরকারি দুটি এবং কক্সবাজরের একটি ল্যাব মিলে ৬৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। যাদের মধ্যে নগরের ৬১ জন এবং উপজেলার ২২ জন। গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রামে করোনায় আরও চারজন মারা গেছেন এবং ৪৭ জন সুস্থ হয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের প্রধান করোনা পরীক্ষাগার ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি)-তে বিদেশগামীদের বাধ্যতামূলক করানো টেস্টসহ দিনের সর্বাধিক ২৪২ জনের নমুনা পরীক্ষা করোনা করা হয়। তাতে করোনা শনাক্ত হয় ২২ জন। এর মধ্যে ২১ জনই নগরের বাসিন্দা এবং ১ জন উপজেলার।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটি (সিভাসু) ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার কোন নমুনা পরীক্ষা হয়নি।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় ১৭২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে দিনের সর্বোচ্চ ২৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া যায়। যাদের মধ্যে নগরেরই ১৯ জন, বাকি ৪ জন উপজেলার বাসিন্দা।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১২৪ জনের করোনার পরীক্ষা হয়। তাতে ১৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। যাদের মধ্যে ২ জন নগরের এবং ১৪ জন বিভিন্ন উপজেলার।

বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এদের সবাই নগরের।

চট্টগ্রামের আরেকটি বেসরকারি ল্যাবে শেভরণ ল্যাবে ৫১ জনের নমুনায় ১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়। যাদের ১০ জন নগরের এবং ৩ জন উপজেলার রোগী।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৫ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করেও কোন করোনা রোগী পাওয়া যায়নি।

উপজেলা পর্যায়ে নতুনভাবে করোনা শনাক্ত ২২ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয় ফটিকছড়ি উপজেলায়। সেখানে ৮ জন করোনা পজিটিভ রোগী পাওয়া যায়। রাউজান ও হাটহাজারীতে শনাক্ত হয় ৫ জন করে। এছাড়া আনোয়ারা, পটিয়া, মিরসরাই ও সীতাকুণ্ডে ১ জন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!