একদিনের ব্যবধানে চট্টগ্রামে আবার বেড়েছে করোনা শনাক্ত

চট্টগ্রামে সপ্তাহজুড়ে পাঁচ শতাধিকের ওপরে থাকা করোনা শনাক্ত আগেরদিন কমে এসেছিল ৩৬১ জনে। কিন্তু একদিনের ব্যবধানে আবার বেড়েছে করোনা। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুনভাবে ৫৩০ জনের দেহে করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মহানগরে ৩৩২ জন এবং উপজেলা পর্যায়ে ১৯৮ জন। শনাক্তের শতকরা হার ১২ দশমিক ৮৪। তবে, আগেরদনের মতো এই সময়ে করোনায় আক্রান্ত কারো মৃত্যু হয়নি।

এই নিয়ে চট্টগ্রামের মোট আক্রান্ত বেড়ে গিয়ে দাঁড়াল ১ লাখ ২৩ হাজার ৫৭৬ জন। এর মধ্যে নগরে ৮৯ হাজার ৯৯২ জন এবং উপজেলা পর্যায়ে ৩৩ হাজার ৫৮৪ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ইতিমধ্যে ১ হাজার ৩৫৯ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে নগরে ৭৩৪ এবং উপজেলায় ৬২৫ জন।

সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম জেলার করোনা সম্পর্কিত এ তথ্য নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াস চৌধুরী।

তিনি জানান, চট্টগ্রামের বিভিন্ন ল্যাবে ৪ হাজার ১২৫ জনের নমুুুুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষায় চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৫৩০ জনের।

ল্যাবভিত্তিক ফলাফলে দেখা যায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। বিআইটিআইডিতে ৪৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৯৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ৫২১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

চট্টগ্রামের বিভিন্ন ল্যাবে এন্টিজেন টেস্টে ২০৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ইমপেরিয়াল হাসপাতালে ৪৫২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শেভরনে ৬১৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ৩১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আরটিআরএলে ৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ২২৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এপিক হেলথকেয়ারে ১৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এশিয়ান স্পেশালাইড হাসপাতালে ৩৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৬৫২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এদিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ এবং ল্যাব এইডে নমুনা পরীক্ষা হয়নি।

উপজেলা পর্যায়ে শনাক্ত ১৯৮ জনের মধ্যে বোয়ালখালীতে সর্বাধিক ৩৪ জন রয়েছেন। এছাড়া, সাতকানিয়ায় ২৬ জন, মিরসরাইয়ে ২৩ জন, লোহাগাড়ায় ২১ জন, হাটহাজারীতে ১৭ জন, রাউজানে ১৬ জন, পটিয়ায় ১৫ জন, বাঁশখালীতে ১১ জন, ফটিকছড়িতে ১০ জন, আনোয়ারায় ৯ জন, চন্দনাইশে ৮ জন, সীতাকুণ্ডে ৭ জন, সন্দ্বীপে ৬ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে, এদিন কর্ণফুলীতে কোন রোগী পাওয়া যায়নি।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!