এইচএসসি পুনঃনিরীক্ষণে ৩৬৫ পরীক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পুনঃনিরীক্ষণের ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) শিক্ষা বোর্ডের নিজস্ব ওয়েবসাইটে এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এবারে ৫৪ হাজার ২৭৫ উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছে শিক্ষার্থীরা।

আবেদনকারী ১৬ হাজার ৬৭৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩৬৫ পরীক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. মাহবুব হাসান।

শিক্ষার্বোড থেকে জানা যায়, ১৬ হাজার ৬৭৬ পরীক্ষার্থী এইচএসসির ৫৪ হাজার ২৭৫ উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছে। যার মধ্যে বাংলা ১ম পত্রে ৩ হাজার ৪৮৭, বাংলা ২য় পত্রে ৩ হাজার ১০০, ইংরেজি ১ম পত্রে ৭ হাজার ১৬৬, ইংরেজি ২য় পত্রে ৫ হাজার ৮৪৯, আইসিটিতে ৪ হাজার ৩১৪, পদার্থ ১ম পত্রে ৩ হাজার ৩১০, পদার্থ ২য় পত্রে ২ হাজার ৮৪০, রসায়ন ১ম পত্রে ২ হাজার ৯১৪, রসায়ন ২য় পত্রে ২ হাজার ৫৩২, জীববিজ্ঞান ১ম পত্রে ২ হাজার ৬১৫, জীববিজ্ঞান ২য় পত্রে ২ হাজার ২০৭, হিসাববিজ্ঞান ১ম পত্রে ১ হাজার ২০৭, হিসাববিজ্ঞান ২য় পত্রে ৮৭২, গণিত ১ম পত্রে ১ হাজার ৮০১ এবং গণিত ২য় পত্রে ১ হাজার ৫৩০ আবেদন জমা পড়েছে।

৩৬৫ জন পরীক্ষার্থীর ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের পর ৩৪৪ জন পরীক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণ শেষে গ্রেড পরিবর্তন হয়েছে ২৯৭ জন পরীক্ষার্থীর। নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৪ জন পরীক্ষার্থী। এছাড়াও অকৃতর্কায থেকে কৃতর্কায হয়েছে ৪৭ জন পরীক্ষার্থী এবং পাস না হলেও নম্বর পরিবর্তন হয়েছে ২১ পরীক্ষার্থীর।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মাহবুব হাসান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, “পুনঃনিরীক্ষণের জন্য যারা আবেদন করেছে তাদের উত্তরপত্রে নাম্বার যোগ বা উঠানোর ক্ষেত্রে কোনো যে ভুলগুলো হয়েছে তা সংশোধন করে পুনরায় ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পুনঃনিরীক্ষণের পর পরীক্ষার ফলাফলে পরিবর্তন এসেছে। পুণঃনিরীক্ষণে আরও ৪৭ জন পাশ করেছে। নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৪ জন পরীক্ষার্থী। এবং গ্রেড পরিবর্তন হয়েছে ২৯৭ জন পরীক্ষার্থীর।

এবার এইচএসসি পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ছিলো ৬২ দশমিক ১৯ শতাংশ। ১৭ জুলাই প্রকাশিত ফলাফলে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ পাওয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো ২ হাজার ৮৬০ জন। পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশিত হওয়ার পর তা বেড়ে ২ হাজার ৮৮৪ জনে এসে দাঁড়িয়েছে। ১৭ জুলাই প্রকাশিত ফলাফলে যারা অকৃতকার্য হয়েছে অথবা আশানুরূপ ফলাফল পায়নি শিক্ষাবোর্ডের নির্ধারিত সময়ে পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছে সেসব শিক্ষার্থীরা।

এসআর/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!