এইচএসসি পরীক্ষা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষাবোর্ডের তিন প্রস্তাব

মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে এরই মধ্যে এ বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) না নেয়ার সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে জানিয়েছে সরকার। আটকে আছে উচ্চ মাধ্যমিক তথা এইচএসসি পরীক্ষা। এখন এ পরীক্ষা আয়োজনে শিক্ষাবোর্ড থেকে তিনটি প্রস্তাব তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবগুলো হলো- কেন্দ্র সংখ্যা বৃদ্ধি, সিলেবাস ও নম্বর কমানো এবং পরীক্ষার বিষয় কমিয়ে আনা।

আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর অনলাইনে সংবাদ সম্মেলন করে পরীক্ষা আয়োজন সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত তুলে ধরবেন বলে জানা গেছে। সংবাদ সম্মেলনে পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে কোন পদ্ধতিতে পরীক্ষা আয়োজন করা হবে সেসব বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরবেন বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এইচএসসি-সমমান পরীক্ষা আয়োজন নিয়ে বিপাকে পড়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এমন পরিস্থিতির মধ্যে কীভাবে পরীক্ষা আয়োজন করা যায়- সে বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ডকে প্রস্তাব তৈরি করে পাঠাতে বলা হয়। পরীক্ষা আয়োজনে ২৪ সেপ্টেম্বর আন্তঃবোর্ডের সভায় সব বোর্ডের চেয়ারম্যানদের পরামর্শে তিনটি প্রস্তাব তৈরি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজনে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ড আলোচনার মাধ্যমে তিনটি প্রস্তাব তৈরি করে। তবে সব প্রস্তাবে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রস্তাবগুলো হলো-

১. পরীক্ষার কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি করে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে পরীক্ষার আয়োজন করা।

২. সিলেবাস ও নম্বর কমিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে পরীক্ষা শেষ করা।

৩. বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগের মূল বিষয়গুলোর পরীক্ষা নিয়ে মূল্যায়নের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট প্রদান করা।

মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কায়সার আহমেদ একটি জাতীয় গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ডের সভায় পরীক্ষা কীভাবে আয়োজন করা সম্ভব- সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেসব আলোচনার প্রেক্ষিতে প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে।’

এমএহক