ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে কৃষকের আত্মহত্যা

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় মহাজন ও বিভিন্ন এনজিও সংস্থার ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে অরুণ বড়ুয়া (৫০) নামের এক কৃষক বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন।

রোববার (১১ এপ্রিল) বিকালে উপজেলার চাতরী ইউনিয়নের রুদুরা গ্রামের বড়ুয়াপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। বিষপানের পর স্বজনরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি করালে সেখানে রাতেই তার মৃত্যু হয়।

সোমবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে স্থানীয় ও স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দুই ছেলে এক মেয়ের জনক অরুণ বড়ুয়া পেশায় একজন কৃষক। পরিবার পরিজন নিয়ে অভাব-অনটনের সংসার। তাই পরিবারের স্বচ্চলতা ফিরাতে ২ কানি জমি বর্গা নেন প্রতিবেশির কাছ থেকে। চাষাবাদ ও পরিবারের খরচ যোগাতে স্থানীয় মহাজন গিয়াস উদ্দিন ও উপজেলার বিভিন্ন এনজিও সংস্থা থেকে ঋণ নেন তিনি। কিন্তু চাষাবাদে লাভবান না হওয়ায় ঋণ পরিশোধ করতে পারেননি। ফলে সুদাসলে ঋণের বোঝা বাড়তে থাকে প্রতিদিন। আর প্রতিদিনই ঋণ ও সুদের টাকার জন্য অপমানিত হতে হয় মহাজন ও এনজিও সংস্থার লোকদের কাছে। মানসিক চাপ সইতে না পেরে রোববার বিকালে পরিবারের অজান্তে বিষপান করেন অরুণ বড়ুয়া। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন বিষপানের বিষয়টি টের পেয়ে তাকে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মৃত্যু তার হয় তার।

অরুণ বড়ুয়ার কলেজ পড়ুয়া মেয়ে প্রিয়ন্তী বড়ুয়া (১৮) জানান, এলাকার মহাজন গিয়াস উদ্দিন ও এনজিও সংস্থা ব্রাক, প্রত্যাশা, উদ্দীপন ও ব্যুরো বাংলাদেশের ঋণের টাকা পরিশোধের চাপ সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন তার বাবা।

প্রিয়ন্তী আরও জানান, গিয়াস উদ্দিনের কাছ থেকে তার বাবা ২৬ হাজার টাকা ঋণ নেন। কিন্তু ওই টাকা সুদে আসলে দাঁড়ায় প্রায় ১ লক্ষ টাকা। এ গুলো নিয়েও তারা বাবা খুব টেনশনে ছিলেন।

আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম দিদারুল ইসলাম সিকদার বলেন, মানসিক চাপ সইতে না পেরে অরুণ বড়ুয়া (৫০) নামের এক কৃষক বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। তবে ঋণ ও সুদের বিষয়ে কিছু জানিনা।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!