চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে উপ-নির্বাচন শুরুর ১৫ মিনিট আগে বহিরাগত সন্দেহে ৪৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। জানা গেছে, আটককৃতরা কাউন্সিলর প্রার্থী মাসুদ করিম টিটুর পক্ষে ভোটকেন্দ্র দখল করতেই পটিয়া ও চন্দনাইশ থেকে শহরে আসছিল।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকাল আটটা থেকে পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। পৌনে আটটার দিকে শাহ আমানত সেতুর উত্তর পাড়ে দুইটি বাস থেকে ৪৬ জনকে আটক করা হয়।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নেজাম উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নতুন ব্রিজ (শাহ আমানত সেতু) এলাকা থেকে দুই বাস ভর্তি ৪৬ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে তাদের দেখে বোঝা যাচ্ছে পশ্চিম বাকলিয়া উপ-নির্বাচনে প্রভাব খাটানো ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্যই তাদের আনা হচ্ছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ভোটগ্রহণ শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত নির্বাচন সুষ্ঠুভাবেই হচ্ছে। আমরাও তৎপর ও নজরদারি রেখেছি যাতে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাসভর্তি এসব লোকজনকে পটিয়া ও চন্দনাইশ উপজেলা থেকে আনা হচ্ছিল। তারা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক ও কাউন্সিলর প্রার্থী মাসুদ করিম টিটুর হয়ে কাজ করার জন্য আসছিলেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, গত ১৭ এপ্রিল বাকলিয়া-১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এ কে এম জাফরুল হক ইন্তেকাল করলে ১২ জুন ওই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) উপ-নির্বাচন করা সিদ্ধান্ত নেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
অন্যদিকে এ নির্বাচনে বারবার চেষ্টা করে সমঝোতায় ব্যর্থ হয় ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগ। যার ফলে একইসঙ্গে নির্বাচনে লড়ছেন আওয়ামী লীগের পাঁচ প্রার্থী।
প্রার্থীদের মধ্যে মোহাম্মদ শহিদুল আলম পেয়েছেন (ঘুড়ি) প্রতীক, মো. মাসুদ করিম টিটু (রেডিও), মো. শফি (লাটিম), শাহেদুল ইসলাম (টিফিন ক্যারিয়ার) ও শেখ নায়েম উদ্দীন (ঠেলাগাড়ি) প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। বিপরীতে বিএনপির একক প্রার্থী একেএম আরিফুল ইসলাম লড়ছেন (মিষ্টি কুমড়া) প্রতীক নিয়ে।
আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, ‘ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পুলিশ, আনসার সদস্যের পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাব-পুলিশের একাধিক টিম নির্বাচনী এলাকায় টহলে আছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো প্রশাসনের নজরদারিতে রয়েছে।’ এখনও কোনোরূপ ঝামেলার কথা আমরা শুনিনি।
পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা রয়েছে ৪৯ হাজার ৮২৫ জন। এর মধ্যে ২৩ হাজার ৭৪৮ জন পুরুষ এবং ২৬ হাজার ৭৭ জন নারী ভোটার। এ ওয়ার্ডের মোট ১৭টি ভোট কেন্দ্রের ২২৪টি কক্ষে ভোট নেওয়া হচ্ছে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ উপ-নির্বাচন।
এসআর/সিপি