উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র থেকে ফের আমদানি পারমিট ইস্যু হচ্ছে

চট্টগ্রাম উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র থেকে পুনরায় চট্টগ্রাম জেলাধীন সকল আমদানিকারকদের অনুকূলে আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) সনদ ইস্যুর অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে।

গতকাল রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র উপ-পরিচালক কার্যালয় থেকে চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বরাবর পাঠানো এক পত্রের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

ওই পত্রে বলা হয়েছে, ‘উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র, সমুদ্র বন্দর, চট্টগ্রাম কার্যালয় থেকে চট্টগ্রাম জেলাধীন আমদানিকারকদের আবেদন বিবেচনা করে সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম থেকে আমদানি অনুমতিপত্র (আইপি) ইস্যুর নিমিত্ত উদ্ভিদ সংগনিরোধ আইন, ২০১১-এর দ্বিতীয় অধ্যায়ের ধারা-৫ মোতাবেক পরিচালক, উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইং, খামারবাড়ি, ঢাকা কর্তৃক উপ-পরিচালক, উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র, সমুদ্র বন্দর, চট্টগ্রামকে আমদানি অনুমতিপত্র (আইপি) ইস্যুর ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে।’

ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের লক্ষ্যে আইপি ইস্যুকরণ অটোমেশনের আওতায় আনা হয়েছিল। কিন্তু ব্যবসাকে সহজীকরণের উদ্দেশ্যে আইপি ইস্যুকে অটোমেশনের আওতায় আনা হলেও পদ্ধতিগতভাবে তাতে পূর্বের সনাতনী ব্যবস্থার ছাপ রয়ে গিয়েছিল। অর্থাৎ অনলাইনে ফরম পূরণ করলেও ব্যাংক চালানের মূলকপি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঢাকার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে ফিজিক্যালি দাখিল করা হতো।

অন্যদিকে, আইপি ফরম পূরণে কোন ভুল-ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে তা ফরম জমা দেয়ার দুই থেকে চার দিন পর জানা যায় এবং সংশোধনের জন্য পুনরায় ঢাকার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যেতে হয়। যা ঢাকা জেলার বাইরের একজন আমদানিকারক/ব্যবসায়ীর জন্য ব্যয় ও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। কিন্তু একজন আমদানিকারক এলসি খোলার জন্য রপ্তানিকারক হতে যে সময় পান তা খুবই স্বল্প (সাধারণত ৭ দিন) যা আইপি সনদ পেতে পেতে অতিক্রম হয়ে যায় এবং এর ফলে রপ্তানিকারক কর্তৃক পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। অথচ চট্টগ্রাম বা খুলনার আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে আমদানিকারকরা এ কাজ আরো কম সময় ও ব্যয়ে করে আসছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামের সর্বস্তরের ব্যবসায়ীরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে পত্র মারফত প্রকৃত অটোমেশন না হওয়া পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের সময় ও ব্যয় সাশ্রয়ের জন্য চট্টগ্রাম হতে আইপি ইস্যুর আবেদন জানিয়ে এসেছেন।

চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম চট্টগ্রাম হতে পুনরায় আইপি ইস্যুর অনুমোদন প্রদান করায় বর্তমান সরকার, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি ভবিষ্যতেও দেশের ব্যবসায়-বাণিজ্যের উন্নয়নের চলমান ধারাকে ত্বরান্বিত করতে ব্যবসাবান্ধব সরকারের এ জাতীয় ইতিবাচক ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। একই সাথে চেম্বার সভাপতি দেশের সকল অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের সমান সুযোগ তথা ব্যবসা সহজীকরণের লক্ষ্যে অনতিবিলম্বে আইপি ইস্যু কার্যক্রমের পূর্ণাঙ্গ অটোমেশন বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।

এমএ/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!