উখিয়ায় ইউএনও-এসিল্যান্ডের গাড়ি ভাংচুর, দুইজন আটক

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) গাড়িতে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। হামলায় স্কুল শিক্ষকসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। ঘটনায় জড়িত দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ছোঁড়ে। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

রোববার (২ মে) উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ কাজের খুটি স্থাপনের সময়ে আবু ছৈয়দ ফজলী ও মোহাম্মদ হোসনের নেতৃত্বে একদল উশৃঙ্খল জনতা এ হামলা চালিয়েছ বলে অভিযোগ উঠে।

আটক দুইজন হলো- স্থানীয় মকতুল হোছনের ছেলে ছৈয়দ আলম ফজলী ও সুলতান আহমদের ছেলে মোহাম্মদ কালু। এছাড়া অন্যান্য হামলাকারীরা হলো- বদিউল আলমের ছেলে মোহাম্মদ হোসাইন, সুলতান আহমদের ছেলে নুরুল আলম, সুলতান আহমদের ছাদেক আলী, মৌলভী তৈয়বের ছেলে আব্দুল মোস্তফাসহ আরো অনেকে।

স্থানীয় আবুল কালাম জানান, সকাল ১০টার দিকে ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করতে ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদারসহ সংশ্লিষ্টরা বিদ্যালয়ে গেলে শিবির ক্যাডার মোহাম্মদ হোসাইনের নেতৃত্বে স্থানীয় কয়েকজন দুষ্কৃতিকারী ভবন নির্মাণ কাজে বাধা দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আমিমুল এহসান খান উপস্থিত হয়ে বুঝানোর চেষ্টা করেন। এতেও পরিস্থিতি শান্ত না হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমেদ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা একযোগে তাদের গাড়িতে হামলা চালিয়ে গাড়ি ভাংচুর করে। এ সময় পুলিশ রাবার বুলেট ছোঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে ভবন নির্মাণে বাধা প্রদানকারী মোহাম্মদ হোসাইন জানান, একটি মহল বিশাল অংকের টাকা লুটপাট করার মিশন নিয়ে মাঠে ভবন নির্মাণে নামে যুদ্ধ শুরু করেছে। এ সময় খেলার মাঠে ভবন নির্মাণে বাধা দিলে এলাকাবাসীর মধ্যে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।

ঘটনার বিষয়ে সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কুমার বড়ুয়া বলেন, দুর্বৃত্তদের হামলায় সহকারী শিক্ষক বাবুল ও শামশুল আলম ভুলু গুরুত্ব আহত হয়েছেন। মূলত বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী অনুযায়ী শ্রেণিকক্ষ না থাকায় পাঠদান দিতে কষ্ট হয়। তাই বিদ্যালয়ের নিজস্ব জায়গার উপর সরকারি ভবন নির্মাণ করতে গেলে এলাকার কয়েকজন বাধা প্রদান করে। এ নিয়ে পূর্বেও ইউএনও, সহকারি কমিশনারের কার্যালয়ে কয়েক দফা মিটিংয়ের মাধ্যমে ভবন নির্মাণে সিদ্ধান্ত হয়। তারপরও আজ কাজ করার সময় হামলা করা হয়।

উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহাম্মদ সঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ ও পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান, উখিয়া-টেকনাফের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাকিল আহমেদ।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!