উখিয়ার পালংখালীতে ৩ পরিবার লকডাউনে

উখিয়ায় তিন পরিবারকে লকডাউন করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

জানা যায়, পালংখালী ইউনিয়নের রহমতেরবিল গ্রামের বাসিন্দা তৈয়ম গোলামের পুত্র গুরা মিয়া শারীরিক অসুস্থতায় ঢাকা বক্ষব্যাধি হাসপাতালে এক বছর যাবত চিকিৎসাধীন ছিলেন। ১৬ এপ্রিল সপরিবারে ঢাকা থেকে নিজ বাড়িতে এসে পৌঁছালে পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ তাদের আগামী ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়ে তার বাড়িতে লাল পতাকা দিয়ে কোয়ারেন্টাইন স্টিকার সংযুক্ত করা হয়।

একইভাবে ইউনিয়নের চুরাখোলা গ্রামের বাসিন্দা আলজামিআতুল ইসলামিয়া মদিনাতুল উলুম মাদ্রসার শিক্ষক আশরফ আলীর পুত্র আফজল হুসাইনকে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে। তার বাড়িতেও লাল পতাকা উত্তোলন ও কোয়ারেন্টাইন স্টিকার লাগানো হয়েছে। কয়েকদিন পূর্বে তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে নিজ বাড়িতে ফিরেছেন।

অন্যদিকে পশ্চিম পালংখালী গ্রামের বাসিন্দা নুর আলমের পুত্র ফিরোজ কামাল রামু থেকে আসায় তাকেও কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তার বাড়িতেও লাল পতাকা উত্তোলন করে কোয়ারেন্টাইন স্টিকার লাগানো হয়।

লকডাউনে থাকা অবস্থায় সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে তাদের বাড়িতে ১বস্তা চাল ও প্রয়োজনীয় কাঁচা বাজার পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইন যথাযথভাবে পালন করার জন্য অনুরোধ করেছি। আমি আশপাশের লোকজনকেও আতংকিত না হওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছি।’

করোনা সংক্রমণ থেকে এলকাকে বাঁচাতে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন বলে জানান চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘যেহেতু সীমান্তবর্তী ঘুমধুম ইউনিয়নে গতকাল করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন। তাই সেখান থেকে পালংখালীতে যেন কোন লোক হেঁটে বা গাড়িতেিএখানে আসতে না পারে সেজন্য রাত জেগে পাহারা দেওয়া হচ্ছে।’

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!