ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আলোয় সেজেছে নগরী

ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সেজেছে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। নানা রঙের বাতিতে আলোকসজ্জায় সজ্জিত হচ্ছে সড়কসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান।

রোববার (১০ নভেম্বর) আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের উদ্যোগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী অনুষ্ঠিত হবে৷ এশিয়ার বৃহত্তম এই জুলুসে প্রায় ৬০ লক্ষাধিক লোকের সমাগম হবে বলে জানা গেছে।

এ উপলক্ষে বুধবার (৬ অক্টোবর) রবিউল আউয়াল মাসের ১ তারিখ থেকে নগরের মূল ও অলিগলির সড়কে ব্যানার, ফেস্টুন, কালেমাখচিত সবুজ পতাকাসহ নানা উপকরণে আলোকসজ্জা শুরু করেছে। সড়ক, আইল্যাণ্ড, উড়ালসেতু, পিলারসহ বিভিন্ন স্থানে করা রঙের আলোকসজ্জা। চোখ ধাঁধানো বর্ণিল আলোকসজ্জায় সন্ধ্যায় নগরীর সড়কগুলো নানা রঙের আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে।

বুধবার (৬ নভেম্বর) নগরের মুরাদপুর মোড়ে রাত দশটায় গেলে দেখা যায়, কাজির দেউড়ি রোড আইল্যাণ্ডে থাকা গাছের ডালে ঝোলানো আছে নানান রঙের বাতি। এছাড়াও জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া, আলমগীর খানকা, দায়েম নাজির জামে মসজিদ, মহিলা মাদ্রাসা ভবনের সামনেও আলোকসজ্জা করা হয়েছে।

ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আলোয় সেজেছে নগরী 1

চট্টগ্রাম নগরের ৪১ ওয়ার্ডে গাউসিয়া কমিটি ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসারীরা নিজেদের অর্থায়ন, স্বেচ্ছাশ্রমে আলোকসজ্জা, কলেমা ও ধর্মীয় বাণী খচিত পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন টাঙানোর কাজ করেছেন। প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩০- ৫০ লোক কাজ করেন৷ চট্টগ্রাম নগরের অক্সিজেন, মুরাদপুর, বহাদ্দারহাট, ওয়াসা, কাজির দেউড়ি, নিউমার্কেট, কোতোয়ালী বন্দর সল্টগোলা, বাকলিয়া,পতেঙ্গা, বাকলিয়া, হালিশহর, পাহাড়তলী, কর্ণফুলী ব্রিজ এলাকায় আলোকসজ্জা করা হয়েছে। সড়ক,আইল্যান্ড, উড়ালসেতু পিলার ও সেতু মসজিদ, মাদ্রাসা, মাজার, ভবনে আলোকসজ্জা করা হয়েছে৷ চট্টগ্রাম নগরের মুরাদপুর থেকে নাজির পাড়া জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা সড়ক পর্যন্ত আলোকসজ্জা নিজের অর্থে করেছেন সাদেক হোসেন পাপ্পু।

সাদেক হোসেন পাপ্পু বলেন, তিনি বলেন পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে এই অংশে সড়ক আলোকসজ্জার খরচ ৩ লাখ টাকা আমি দিয়েছি। এখানে আমরা সবাই বিনা স্বার্থে কাজ করি। কেউ কোন ধরনের ইহলৌকিক লাভের আশায় কিছু করে না।

হালিশহরের মোস্তফা আমিন বলেন, আমি জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসায় নিয়মিত আসি। প্রতিবছর ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে চট্টগ্রাম শহরে আলোকসজ্জাসহ সব ধরনের কাজ সওয়াবের নিয়তে করি। আমি গত ১৫ বছর ধরে এখানে কাজ করছি।

সিএম/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!