ঈদের আগেই মসলায় ঝাঁজ, দণ্ড ৫০ হাজার

কোরবানির ঈদের আগে প্রতি বছরই মসলা জাতীয় পণ্যের দাম বেড়ে যায়। এর পেছনে রয়েছে দেশের অন্যতম প্রধান পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। মূলত এই ব্যবসায়ীরাই মসলার বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেন। এবার পাইকারি বাজারে মসলার দাম বৃদ্ধি রোধে মাঠে নেমেছে জেলা প্রশাসন।

রোববার (২৮ জুন) দুপুর ১২টায় নগরের খাতুনগঞ্জে অভিযানে ৪ মসলা ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

অভিযানের নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক। তিনি বলেন, খাতুনগঞ্জ বাজারে বেশ কয়েকটি মসলার আড়তে লেনদেন সংক্রান্ত কাগজপত্র যাচাই করে দেখা যায়, ব্যবসায়ীদের টাঙানো বিক্রয় মূল্য তালিকার সঙ্গে ক্রয় মুল্যে অনেক পার্থক্য। ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমত মসলার দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। আবার অনেকের কাগজপত্র গরমিল থাকায় অভিযান চলাকালীন কৌশলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে সটকে পড়েন। অনেকে আবার সাঁটানো মূল্য তালিকায় পণ্যের দাম কাটাছেঁড়াও করেছেন।

তিনি বলেন, আড়তে টাঙানো মূল্য তালিকা যাচাই করে দেখা যায়, ২ হাজার ৪১০ টাকার এলাচির বিক্রয় মূল্য ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৬০০ টাকা, ২৪০ টাকার দারুচিনি ৪০০ টাকা, ৪২০ টাকার গোল মরিচ ও লবঙ্গ ৬২০-৬৮০ টাকা, ২৭৫ টাকার জিরা বিক্রি করা হচ্ছে ৪০০ টাকায়।

অভিযানে অতিরিক্ত দামে মসলা বিক্রি ও মূল্য তালিকায় কাটাছেঁড়া করার দায়ে মেসার্স নারায়ণ ভান্ডারকে ২০ হাজার টাকা, মেসার্স চিটাগং ফ্রেন্ডস ট্রেডার্সকে ১০ হাজার টাকা, আল্লাহর দান স্টোরকে ১০ হাজার টাকা, মেসার্স অনিল দেব স্টোরকে ১০ হাজার টাকাসহ মোট ৪ মসলা ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সিএম/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!