ঈদের আগেই গরম মসলার বাজার ‘গরম’ আনোয়ারায়

কয়েকদিন পরেই ঈদুল আযহার। ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় সরগরম হয়ে উঠেছে মসলার বাজার। গত বছরের চেয়ে এবার এলাচির ঝাঁজ বাড়লেও কমেছে গোলমরিচের দাম।
যেদিকে চোখ যায় কেবল মসলার পসরা। নাকেও আসে বাহারি ঘ্রাণ। তবে যেমন ঘ্রাণ তেমনই দাম। গোলমরিচ, দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গ, জায়ফল এবং জিরাসহ বানানো এই মসলার মিশ্রণটি খাবারের স্বাদ যেমন বাড়ায়, তেমনি শরীরকে রোগ মুক্ত রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সারা বছরব্যাপী গরম মসলার চাহিদা থাকলেও কোরবানির ঈদ আসলে এর চাহিদা বেড়ে যায়। তাই দামও হয় আকাশচুম্বী।

মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) সকালে আনোয়ারা উপজেলার চাতরী চৌমুহনী বাজার, কাফকো সেন্টার, বটতলী রুস্তমহাট, আনোয়ারা জয়কালী বাজার, হাইলধর মালঘর বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা যায়, ক্ষেত্র বিশেষে মসলার দাম ১০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। আমদানিকৃত চায়না আদা বিক্রি হচ্ছে (প্রতি কেজি) ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। আগে এর দাম ছিল ১৪০ টাকা। আর দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৩০ টাকা। আগে বিক্রি হয়েছিল ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। আমদানিকৃত চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০ টাকা কেজি। আর দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ১৪০ টাকা কেজি। এ ছাড়া গোল মরিচ, হলুদ, মরিচের গুঁড়া, জয়ত্রী, এলাচি, দারুচিনির দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজারে প্রতি কেজি এলাচি বিক্রি হচ্ছে আড়াই হাজার টাকার উপরে। জয়ত্রী প্রতি কেজি আড়াই হাজার টাকা, লবঙ্গ ৮৫০ টাকা, গোলমরিচ ৬০০ টাকা, জিরা সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ও দারুচিনি ৪৫০ টাকা। একইভাবে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে চাল, ডাল, তেল, আটা, ময়দা, চিনি ও লবণ।

তবে দাম বাড়ার কারণ হিসেবে পাইকারি বাজারকেই দায়ী করছেন স্থানীয় বাজারের বিক্রেতারা। কোরবানির আগে প্রতিবছর মসলার বাজার ‘গরম’ থাকে তাই এবারও এর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারেও এখন মসলার দাম চড়া। দাম বৃদ্ধির এটিও একটি কারণ।

আবদুল রহিম নামে এক বিক্রেতা বলেন, ‘পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। আমরা বেশি দামে এনেছি তাই বেশি দামে বিক্রি করছি।’

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!