ইয়াবা ব্যবসায়ী ঘরে আড়াই কোটি টাকার সম্পদের খোঁজ পেল দুদক

অবৈধভাবে অঢেল সম্পদ অর্জনের দায়ে টেকনাফ উপজেলার এক শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ সময় তার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৭১ লাখ ২৫ হাজার ৩৩৭ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের খোঁজ পায় দুদক।

সোমবার (২ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে দুদক জেলা সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক হুমায়ুন কবীর বাদি হয়ে জেলা সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এ একটি মামলা দায়ের করেন।

তিনি কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার দক্ষিণ হ্নীলা লেদা পশ্চিম পাড়ার মুত আবুল কাশেমের পুত্র অভিযুক্ত নুরুল হুদা। বর্তমানে একই উপজেলা ৮ নম্বর হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় বসবাস করেন।

দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৩ জুন টেকনাফ এলাকায় মাদক ব্যবসার মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের একটি অভিযোগ আনা হয় নুরুল হুদার বিরুদ্ধে। ২০১৭ সালের ৯ জুলাই তার সম্পদের অনুসন্ধান করতে দুইজন অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেয় দুদক। অনুসন্ধানকালে নুরুল হুদার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৭১ লাখ ২৫ হাজার ৩৩৭ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য পায় দুদক কর্মকর্তারা। ২০১৯ সালের ২৫ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণীর ফরম ইস্যু করা হয়। ২০১৯ সালের ৭ মে দুদক জেলা সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর কনস্টেবল মো. ফারুক উদ্দিনের মাধ্যমে এই নোটিশ জারি প্রেরণও করা হয়।

সর্বশেষ ২০১৯ সালের ৯ মে দুইজন স্বাক্ষীর উপস্থিতিতে নোটিশ গ্রহণ করেন নুরুল হুদা। ২০১৯ সালের ১৬ মে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে সময় বৃদ্ধির আবেদনও করেন তিনি। এতে দুই সময় বাড়ানোর পর তিনি সম্পদ বিবরণী দাখিল জমা না দেওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক জেলা সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক হুমায়ুন কবীর বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে জারিকৃত সম্পদ বিবরণী ফরম দাখিল না করায় তার বিরুদ্ধে নন সাবমিশন একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুদকের অনুসন্ধানে তার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৭১ লাখ ২৫ হাজার ৩৩৭ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের খোঁজ পাওয়া যায়। তদন্তকালের তার সম্পদের পরিমাণ আরও বেশি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ঘটনায় অন্য কারোর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

মুআ/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!