‘ইয়াবা’ আছে সন্দেহে অটোরিকশায় না তোলায় চালককে পেটাল মাদক ব্যবসায়ী

ভাংচুর করলো অফিসও

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ইয়াবা বহন করতে রাজি না হওয়ায় এক সিএনজি অটোরিকশা চালককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার জের ধরে বুধবার (১ জুলাই) সকাল থেকে উপজেলার আঞ্চলিক সড়ক মিঠাছরা-বামনসুন্দর রোডে গাড়ি চলাচল বন্ধ রেখেছে অটোরিকশা চালক সমিতি। এতে করে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।

মিঠাছরা-বামনসুন্দর অটোরিকশা চালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদ বলেন, ইয়াবা বহনের জন্য স্থানীয় মাদকসেবী তোফাজ্জল হোসেন, হুমায়ুন, তানভীর, রাজীব, শরীফ সোমবার (২৯ জুন) আমাদের লাইনের সদস্য মোশাররফ হোসেনের গাড়ি ভাড়া নিতে আসে। তাদের ভাড়ায় যেতে রাজি না হওয়ায় তারা মোশাররফকে মারধর করে। মিরসরাই থানা থেকে মদ, ইয়াবাসহ কোনও মাদক বহন না করতে আমাদের বলা হয়েছিল। তাই চালকরা এখন কোনও মাদক ব্যবসায়ীর ভাড়ায় যায় না।

তিনি বলেন, মোশাররফকে মারধরের বিষয়টি সমিতিকে জানানোর পর মাদক ব্যবসায়ীরা মঙ্গলবার পুনরায় মোশাররফের বাড়িতে গিয়ে তাকে ও তার গর্ভবতী স্ত্রীকেও মারধর করে। মঙ্গলবার রাত ৮টায় কাটাছরা ইউনিয়নের বামনসুন্দর বাজারে আমাদের সমিতির কার্যালয়ে গিয়ে অন্য চালকদেরও মারধর করে তারা। আমরা থানায় অভিযোগ দেওয়ার জন্য গেলে এসময় তারা আমাদের অফিস ভাংচুর করে। অফিসের দেওয়ালে টাঙ্গানো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিও তারা ভাংচুর করে। অফিসের ক্যাশে থাকা ৯০ হাজার টাকাও তারা লুট করে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, আমরা এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচার ও ক্ষতিপূরণ চাই। অন্যথায় আমরা মিঠাছরা-বামনসুন্দর সড়কে কোন গাড়ি চলাচল করতে দিবো না।

উপজেলার কাটাছরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী হুমায়ুন বলেন, সিএনজি অটোরিকশা চালকের উপর হামলাকারীরা এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তারা দীর্ঘদিন এলাকায় এমন অপকর্ম করে আসছে। হামলার সাথে জড়িত ও তাদের আশ্রয়দাতাদের গ্রেপ্তার করার জন্য তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানান।

এ বিষয়ে মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, মিঠাছরা-বামনসুন্দর অটোরিকশা লাইনটি মিরসরাই ও জোরারগঞ্জ থানার দু’টি অংশে বিভক্ত। বামনসুন্দর বাজার অংশ জোরারগঞ্জ থানা আর মিঠাছরা বাজার অংশ মিরসরাই থানা পুলিশ দেখে। ঘটনাস্থল জোরারগঞ্জ থানায় অবস্থিত হলেও মিরসরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসেছে। আমরা তাদের সকল আইনী সহায়তা দেবো।

জোরারগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই সিরাজুল ইসলাম বলেন, অটোরিকশা চালকদের ভাংচুর করা অফিস আমি পরিদর্শন করেছি। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!