আগে তারা ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদক বিক্রি করতো ভাসমান মানুষের কাছে। তবে করোনা আসার পর থেকে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তারা ব্যবসার ধরনও পাল্টে নেয়। এখন তারা ইয়াবার ‘হোম ডেলিভারি’ দেয়। এর মধ্যে অন্তত দুজন মোবাইল, ইমো ও ম্যাসেঞ্জারে ইয়াবার অর্ডার নেয়। আর অপর একজন গিয়ে সেগুলো অর্ডারদাতার বাসায় পৌঁছে দেয়।
তবে শেষ পর্যন্ত চট্টগ্রামে ইয়াবার ‘হোম ডেলিভারি’ দেওয়ার সময় এক মাদক বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) দিবাগত গভীর রাতে নগরীর ডবলমুরিং থানার চৌমুহনী বরফকল চারিয়াপাড়ার সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মোঃ আরিফ (৩৩) নামে ওই মাদকবিক্রেতা ডবলমুরিং থানার মিস্ত্রিপাড়া জেবল আহম্মদের বাড়ীর মৃত মো. ইসহাকের ছেলে।
ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘আরিফ মিস্ত্রিপাড়ার তালিকাভুক্ত মাদকবিক্রেতা। তার বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা রয়েছে। সে আগে ভাসমান মানুষের কাছে মাদক বিক্রি করলেও করোনা আসার পর ব্যবসার ধরন পাল্টেছে। এখন সে ইয়াবার হোম ডেলিভারি দেয়। এজন্য তারা ৩ জন কাজ করে। বাকি দুইজন মোবাইলে, ইমো ও ম্যাসেঞ্জারে অর্ডার নেয়। আরিফ নিজে গিয়ে তা পৌঁছে দেয়।’
ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার আরিফ এক বাসায় ২০ পিস ইয়াবার অর্ডার পৌঁছে দিতে যাচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাত সাড়ে ১২ টায় চৌমুহনী বরফকল চারিয়াপাড়ার সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ২০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আরিফ জানায়, করোনায় বিভিন্ন সময় লকডাউন দেওয়ার ফলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ইয়াবা বিক্রি করা ঝুঁকিপূর্ণ। তাই অর্ডার নিয়ে বাসায় বাসায় পৌঁছে দিচ্ছিল ইয়াবা।
আরিফের বিরুদ্ধে মাদক আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এআরটি/সিপি