ইস্টার্ন ব্যাংকের ১৩ কোটি আত্মসাৎ, ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

এফডিআর জালিয়াতির ঘটনায় বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল) চট্টগ্রামের দুই শাখার দুই প্রায়োরিটি ব্যাংকিং ম্যানেজারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আটটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাতে জেলা সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর উপ-পরিচালক লুৎফুল কবির চন্দন, সহকারী পরিচালক ফখরুল ইসলাম, উপ-সহকারী পরিচালক হোসাইন শরীফ ও উপ-সহকারী পরিচালক মাহমুদা আকতার বাদি হয়ে মামলাগুলো দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন ইস্টার্ন ব্যাংক ওআর নিজাম রোড শাখার প্রায়োরিটি ব্যাংকিং ম্যানেজার ও চান্দগাঁও এলাকার আলমগীর কবিরের পুত্র ইফতেখারুল কবির (৩৬),প্রায়োরিটি ব্যাংকিং ম্যানেজার ও নগরীর ২১/এ মোমিন রোড ঝাউতলার সাফিউল ইসলাম চৌধুরীর পুত্র সামিউল শাহেদ চৌধুরী (৩৭)।তাকে ঘটনার পর আগ্রাবাদ শাখায় বদলি করা হয়। এছাড়া হালিশহরের রামপুরা এলাকার পানির কল জাপানি বাড়ির কাশেমের পুত্র জাকির হোসেন বাপ্পি (৩৬), বাপ্পির স্ত্রী ও লাবিবা বুটিকসের স্বত্বাধিকারী ফারজানা রহমান ফেন্সি (২৫), নগরের খুলশী থানার বি ব্লকের ১ নম্বর রোডের ৩ নম্বর লেইনের ৪৯২/৫৬০ নম্বর বাড়ির আনোয়ারুল ইসলামের পুত্র মাহমুদুল হাসান (৩৫), হালিশহরের রামপুরার পানিরকল জাপানী বাড়ির খায়ের ম্যানসনের আজম চৌধুরী (৫৪) ও পূর্ব মাদারবাড়ী দারোগারহাট রোডের আবদুল সবুর মাস্টার বাড়ির আবদুল মালেকের পুত্র আব্দুল মাবুদ (৩৪)।
পরস্পরের যোগসাজশে ইস্টার্ন ব্যাংক চট্টগ্রামের দুই শাখায় এফডিআর জালিয়াতি করে প্রায় ১৩ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে।
দুর্নীতি দমন কমিশন জেলা সমন্বিত কার্যালয়-১ এর এক কর্মকর্তা বলেন, দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে অনুমতিক্রমে ইস্টার্ন ব্যাংকের চট্টগ্রামের দুই প্রায়োরিটি ব্যাংকিং ম্যানেজারসহ এই ৭ জনের বিরুদ্ধে আটটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদের মধ্যে ইফতেখারুল কবির কারাগারে আছেন। বাকিরা পলাতক রয়েছে।
শীঘ্রই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে বলেও তিনি জানান।

মুআ/সিআর

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!