ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শেষ, জেলেরা প্রস্তুত

২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাত ১২টায়। এরপর জেলেরা নামবে সাগরে। ইলিশের নিরাপদ প্রজননের জন্য সরকার এই ২২ দিন মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। এর আগে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছিল ২৩ জুলাই।

নিষেধাজ্ঞার এই সময়ে দেশের ইলিশ প্রধান ৮৫টি উপজেলায় ২ লাখ ৩৮ হাজার জেলে পরিবারকে মাসে ৪০ কেজি করে চাল দিয়েছে সরকার।

মৎস্য অধিদপ্তরের ইলিশ পর্যবেক্ষণ সেলের হিসেবে ১৫ বছর আগে মাত্র ২৪টি উপজেলার নদীতে ইলিশের বিচরণ ছিল। সর্বশেষ তথ্যমতে দেশের অন্তত ১২৫টি উপজেলার নদীতে ইলিশের বিচরণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এখন পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র এমনকি হাওড়েও ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে।

৯ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করার প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, এই সময়ে ইলিশের আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ। এ সময়ে ডিম পাড়ে ৮০ শতাংশ ইলিশ। আর এই ডিম পাড়ে মূলত মিঠা পানিতে। তাই আশ্বিনের পূর্ণিমার চার দিন আগে এবং পূর্ণিমার পর ১৮ দিন মোট ২২ দিন দেশের উপকূলীয় অঞ্চল, নদীর মোহনাসহ যেসব জেলা ও নদীতে ইলিশ পাওয়া যায়, সেখানে মাছ ধরা নিষিদ্ধ।

ইলিশ শিকারে নিষিদ্ধ সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে আইন অমান্যকারীদের বিভিন্ন সাজা দিয়েছিল। উদ্ধার করেছিল প্রায় ৯ কোটি টাকার কারেন্ট জাল।

গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ইঞ্জিনচালিত বোট মালিক সমিতির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চট্টগ্রাম নগর কমিটির সভাপতি আমিনুল হক বাবুল সরকার চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‌‘আমাদের কিছু বোট রাতেই মাছ শিকারে যাচ্ছে। অন্যরা দিনের বেলায় যাবে। সরকার ইলিশের নিরাপদ প্রজননের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। আমরা তাই আগের ৬৫ দিনের মতো এই ২২ দিনও মাছ শিকারে নিভৃত ছিলাম।

এফএম/এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!