ইয়াবা বেচে সম্পদের পাহাড়, টেকনাফের বদির ভগ্নিপতি দুদকের মামলায়

ইয়াবা বেচে অঢেল সম্পদের অর্জনের অপরাধে নুরুল হোছাইন নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১৮ সালে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তের পর অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের সত্যতা পেয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। তার বিরুদ্ধে ১ কোটি ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৪৯৮ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলা করা হয়।

সোমবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়।

নুরুল হোছাইন (৪৮) কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার আলিয়াবাদ গ্রামের মৃত আমির হোসাইনের ছেলে। তিনি কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির মামাতো বোনের স্বামী।

জানা গেছে, মিয়ানমার থেকে ইয়াবার বড় চালান এনে চট্টগ্রামসহ রাজধানী ঢাকায় বিভিন্ন মাদককারবারিদের কাছে বিক্রি করতেন নুরুল হোছাইন।দীর্ঘদিন এভাবে ব্যবসা করে তার নামে ও স্ত্রী নামে গড়েছেন স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ। ২০১৮ সালের তার বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগের তদন্ত শুরু করে দুদক। প্রাথমিক অনুসন্ধানে তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত বর্হিভূতভাবে অর্জন করা কোটি টাকার সম্পদের তথ্য পেয়ে নুরুল হোছাইনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক।

দুদক জানায়, ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি আসামি নুরুল হোছাইন ও তার ভাই আব্দুল রহিমের বিরুদ্ধে অভিযোগের ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করে দুদক চট্টগ্রাম কার্যালয়কে। ওই বছরের ২২ জানুয়ারি তদন্ত শুরু করে দুদক। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে দুই ভাইকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে বলা হয়। পৃথকভাবে সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে নুরুল হোছাইন ও তার স্ত্রীর ১৪ লাখ ৯ হাজার ৭০০ টাকার সম্পদ বিবরণীতে দাখিল করা হয়। কিন্তু যাচাই করে তাদের নামে মোট ৯৫ লাখ ৭ হাজার ২৩৬ টাকা সম্পদের খোঁজ পায় দুদক।

এছাড়া দুদক দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে নুরুল হোছাইন ও তার স্ত্রী নামে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য জানায়। কিন্তু দুদক যাচাই করে ২৫ লাখ ৫৯ হাজার ৯৬২ টাকার সম্পদের খোঁজ পায়।

দুদক কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আসামি নুরুল হোছাইন পলাতক রয়েছেন।’

এমএ/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!