ইয়াবার টাকায় ঢাকা থেকে কেনা অস্ত্র যাচ্ছিল দুই রোহিঙ্গা নেতার কাছে

অস্ত্রসহ আটক যুবকের স্বীকারোক্তি আদালতে

মিয়ানমার থেকে ইয়াবা এনে বিক্রি করে সেই টাকায় ঢাকার রাসেল থেকে অস্ত্র কিনে কক্সবাজারের লেদা ক্যাম্প এলাকার সৈয়দ নূর ও কামালের কাছে নিয়ে যাচ্ছিলেন বাকলিয়া থানা পুলিশের হাতে আটক হওয়া রাজ্জাক। তিনদিনের পুলিশি রিমান্ড শেষে চট্টগ্রাম আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এমনই জানিয়েছেন ওই যুবক।

রোববার (১৫ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহানের আদালতে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘ইয়াবা বিক্রি করে সেই টাকায় অস্ত্র কিনে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় নিয়ে যাচ্ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক। তাকে আমরা ৪ নভেম্বর দিবাগত রাত সাড়ে তিনটায় নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে অস্ত্রসহ আটক করি। জিজ্ঞাসাবাদে সেদিন শুধুমাত্র কামালের নাম বলেছিল সে। আমরা ৫ নভেম্বর টেকনাফ থেকে কামাল উদ্দিনকে আটক করেছিলাম।’

ওসি নেজাম আরও বলেন, ‘আদালতে আমরা রাজ্জাকের রিমান্ড চাইলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে তার দেওয়া তথ্যমতে আমরা বহদ্দারহাট নিউ চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফোরকান মাসুদ, মোবারক, রাসেল ও ফোরকানের স্ত্রীকে ২৩ হাজার ইয়াবাসহ আটক করি। ওই অভিযানে ইয়াবা বিক্রির প্রায় নয় লাখ টাকা নগদ জব্দ করা হয়েছিল।

রিমান্ড শেষে রাজ্জাক মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অস্ত্রের উৎস এবং গন্তব্য দুটোই স্বীকার করেছেন। রাজ্জাকের কাছ থেকে উদ্ধার করা আমেরিকায় তৈরি পিস্তলটি ঢাকার রাসেল থেকে তিনি সংগ্রহ করেছিলেন। নিয়ে যাচ্ছিলেন লেদা ক্যাম্পের সৈয়দ নূর এবং কামাল উদ্দিনের কাছে। কামাল উদ্দিন কারাগারে আছেন, রাসেল এবং সৈয়দ নুরকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান ওসি নেজাম।

প্রসঙ্গত, অস্ত্রসহ আটক আব্দুর রাজ্জাক কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার লেদা ক্যাম্পের পাশে ইউসুফ মিয়ার বাড়ির ইউসুফের ছেলে। কামাল উদ্দিন তার প্রতিবেশী। কামাল মৃত সিকদার মির্জার ছেলে।

রিমান্ডে এনে রাজ্জাককে জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) আটক করেছিল চারজনকে। ওই চারজনের মধ্যে বাঁশখালীর ফোরকান মাসুদের দেওয়া তথ্যমতে একই চক্রের আরও তিনজনকে আটক করে শনিবার দুপুরে। আদালতের নির্দেশে সবাই বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সবাইকে পর্যায়ক্রমে রিমান্ডে আনা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

এফএম/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!