ইফতারে ঐতিহ্য ধরে রেখেছে রয়েল বাংলা সুইট

নগরীর এনায়েতবাজার বটালী সড়কে রয়েল বাংলা সুইট হাউজের প্রধান বিক্রয় কেন্দ্র। প্রথম রমজান থেকেই দুপুরের পর শুরু হয় ইফতার কেনার ভিড়। আসরের নামাজের পর ভিড়ের চাপে ইফতার কেনাও কষ্ট এই দোকান থেকে।

ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানের শুরু ইরান থেকে আসা আহমেদ আলীর হাতে। এরপর তার সন্তান মঈজ আহমেদ আলী পরিচালনা করেছেন। এখন তৃতীয় প্রজন্ম এই ব্যবসা পরিচালনা করছে। ইরানি খোয়াইজ আলী ওই পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের একজন।

খোয়াইজ আলী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, দাদার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ের উত্তরসূরী আমরা। আমাদের খাবারের মান ঠিক রেখে সুনামের সাথে এখনো ব্যবসা পরিচালনা করছি। ক্রেতাদের আস্থা অবিচল থাকায় এত ভীড়।

Royal-Bangla-Chittagong-Iftar

খোয়াইজ আলীর পিতা মঈজ আহমেদ আলী বলেন, আমরা খাবার প্রস্তুতে টাটকা উপাদান ব্যবহার করি। পোড়া বা বাসি তেল ব্যবহার না করায় খাবারের স্বাদ অন্যদের চেয়ে আলাদা। তাই ক্রেতাদের আস্থার শীর্ষে এখনো রয়েল বাংলা সুইট হাউজের ইফতার সামগ্রী।

কাজির দেউড়ি থেকে ইফতার কিনতে আসা হাসিবুর রহমান বলেন, রয়েল বাংলার জিলাপি আমার দাদীর পছন্দের। তাই দাদীর পছন্দের ইফতার নিতে আসছি।
হালিশহরের ইসহাক আলী বলেন, অফিস শেষে বাসায় ফিরার পথে রয়েল বাংলা থেকে হালিম কিনে নিয়ে যাই। এদের হালিমের স্বাদটা আমার ভালো লাগে।

তিনপুল এলাকার ব্যবসায়ী ইমাম হোসেন বলেন, দোকানে কয়েকজন মিলে ইফতার করি। এদের ইফতার সামগ্রীতে তেলের আধিক্য থাকে না। আর আমার কাছে রয়েল বাংলার সেমাইটা অসাধারণ মনে হয়। তাই অন্য উপাদানের সাথে সেমাইও নিলাম।

রয়েল বাংলায় সেমাই বিক্রি হয় কেজি ৩০০ টাকা, মার্টন হালিম ৫০০ টাকা, চিকেন হালিম ৪৬০ টাকা, ফিরনি কেজি ৩০০ টাকা, জিলাপি ২৪০ টাকা, পাকোরা ২৪০ টাকা। পাশাপাশি কাবাব, সমুচা, আলুর চপ প্রতিটি ২০ টাকা, বেগুনি, পেয়াজু প্রতিটি ৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এফএম/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!