নারিকেল তলার পকেট গেটে চলাচলের রাস্তায় মার্কেট নয়

দাবিতে ইপিজেড এলাকাবাসীর স্মারকলিপি

ইপিজেড থানাধীন দক্ষিণ হালিশহর ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের নারিকেল তলার পকেট গেটে এলাকায় কর্ণফুলী ইপিজেড (কেইপিজেড) বেপজার পকেট গেট দিয়ে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লক্ষাধিক গার্মেন্টস কর্মীরা চলাচল করে। সেই চলাচলের রাস্তার উপর দোকান পাট ও মার্কেট নির্মাণ করার পায়তারা করছে বেপজার কিছু আসাধু কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাকর্মীরা। গুরুত্বপূর্ণ এ পকেট গেটের রাস্তা অবৈধ দখল করে যদি দোকানপাট ও মার্কেট নির্মাণ করা হলে যানজটের পাশাপাশি লক্ষাধিক গার্মেন্টস শ্রমিক ও এলাকাবাসীর চলাচলে দুর্ভোগ আরও বেড়ে যাবে। চলাচলের রাস্তায় মার্কেট নির্মাণ না করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি দেন এলাকাবাসীরা।

স্মারকলিপিতে জানানো হয়, নারিকেল তলা এলাকায় প্রায় ১ বছর আগে পাকা রাস্তা হিসাবে বেপজা কর্তৃপক্ষ পকেট গেটস্থ রাস্তাটি চালু করে। প্রায় ৪০০ ফুট লম্বা ও ৪০ ফুট প্রস্থ রাস্তাটির। বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের মধ্যে চলমান এলিভেটর এক্সপ্রেস কাজের জন্য একদিকে রাস্তা যেমন সংকুচিত অন্যদিকে ফুটপাত দখলের কারণে সকাল বিকাল যানযজটসহ জনদুর্ভোগ লেগেই থাকে। যানজটের কবল থেকে রক্ষা পেতে প্রতিদিন লক্ষাধিক গার্মেন্টস শ্রমিক এবং এলাকাবাসী সকাল-সন্ধ্যা এ পকেট গেটের রাস্তা ব্যবহার করে। কেইপিজেডের মূল ফটকের পাশাপাশি শ্রমিকদের কাছে পকেট গেট এখন খুবই গুরুত্বপুর্ণ।

স্মারক লিপিতে উল্লেখ আছে, এলাকাবাসীর পূর্বপুরুষের সম্পত্তি স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে ১৯৬০-৬১ সালে সরকার অধিগ্রহণ করেন ইস্পাত কারখানার চলাচলের রাস্তার জন্য। ২০০০ সালে স্টিল মিল বন্ধ হয়ে যাবার পর বেপজা এ জায়গা লিজ নেয় এবং শ্রমিকদের অফিসে যাতায়াতের সুবিধার্থে বেপজা কর্তৃপক্ষ মূল ফটকের পাশাপাশি চলাচলের জন্য বিকল্প রাস্তা হিসাবে নারিকেল তলায় রেইনবো কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন (কেইপিজেড) পকেট গেটের রাস্তাটি চালু করে।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি লক্ষাধিক গার্মেন্টস শ্রমিক ও এলাকাবাসীর চলাচলের রাস্তার উপর অবৈধ দোকানপাট ও মার্কেট নির্মাণ করলে সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে এমন অভিযোগ করে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম পুলিশ কমিশনার, বিজিএমইএ,ইপিজেড থানা এবং ২৭ফেব্রুয়ারি র‌্যাব-৭ ও গত ৯ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম ১১ আসনের সাংসদ এম এ লতিফসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করেন এলাকাবাসী।

এসকেএস/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!