ইপিজেডের শ্রমিকদের বাঁচাতে করোনা পরীক্ষাগার চালুর আহবান সুজনের

সিইপিজেড এবং কেইপিজেডে আইসোলেশন সেন্টার এবং করোনা টেস্টের ল্যাব চালু করতে প্রতিষ্ঠানগুলোর মহাব্যবস্থাপকদের আহবান জানিয়েছেন জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

মঙ্গলবার (৯ই জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। তার আগে সিইপিজেড এবং কেইপিজেডের মহাব্যবস্থাপক পর্যায়ে টেলিফোনে আলোচনা করে এ আহবান জানান সুজন।

এ সময় সুজন বলেন, বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানেই স্বাস্থ্য বিধি না মেনে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। সামাজিক দূরত্বও পুরোপুরি উপেক্ষিত হচ্ছে প্রতিষ্টানগুলোতে। এতে করে দেশের অর্থনৈতিক বাণিজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাত ইপিজেডে করোনা সংক্রমণ উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কোন প্রতিষ্ঠানের কর্মী অসুস্থ হলে তাকে বাধ্যতামূলকভাবে বাড়িতে অবস্থানের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। অথচ একজন গার্মেন্টস কর্মী যে পরিবেশে দিনাতিপাত করে সে পরিবেশে এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের বাড়িতে অবস্থান করে চিকিৎসা নেওয়া কোনভাবেই সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, তারপরও তাকে নিরূপায় হয়ে প্রতিষ্ঠানের নির্দেশনা মেনে বাড়িতে অবস্থান করতে হচ্ছে। ফলে ওই গার্মেন্টস কর্মীর পরিবারসহ এলাকাবাসীরও সংক্রামিত হওয়ার আশংকা থেকে যাচ্ছে। বিশেষ করে নগরীর গার্মেন্টস অধ্যুষিত এলাকা যেমন ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০ এবং ৪১নং ওয়ার্ডের প্রায় বাসা বাড়িতে জ্বর, সর্দি, কাশিসহ বিভিন্ন রোগের উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। এতে ওই সকল এলাকার অধিবাসীদের মাঝেও উদ্বেগ উৎকন্ঠা ছড়িয়ে পড়ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার প্রণোদনার একটি বিরাট অংশ গার্মেন্টস শিল্পের জন্য ব্যয় করছে। অথচ করোনা পরিস্থিতিতে দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধানতম খাত গার্মেন্টস শিল্পের মালিকদের রহস্যজনক নীরবতা আমাদেরকে হতবাক করছে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নানারকম সামাজিক দায়িত্ব পালন করলেও গার্মেন্টস মালিকরা কোন প্রকার সামাজিক দায়িত্ব পালন করেনি। যে শ্রমিকদের রক্ত, ঘামে তাদের এতো বিত্ত- বৈভব, প্রতিপত্তি সে শ্রমিকদের প্রতি মালিকদের এরকম নিষ্ঠুরতা আমাদেরকে ব্যথিত করেছে প্রতিনিয়ত।

খোরশেদ আলম সুজন অবিলম্বে গার্মেন্টস কর্মীদের জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আইসোলেশন সেন্টার এবং করোনা পরীক্ষাগার চালু করার উদাত্ত আহবান জানান।

এছাড়া কোন গার্মেন্টস কর্মী আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় বেতন-ভাতা থেকে যেন বঞ্চিত না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখার জন্য সিইপিজেড এবং কেইপিজেডের মহাব্যবস্থাপকদের হস্তক্ষেপের দাবি জানান। পাশাপাশি কেইপিজেডে অবস্থিত নারী উন্নয়ন কেন্দ্রটি আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে প্রস্তুত করারও আহবান জানান।

এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!