চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার ইছামতি নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন চলছেই। এতে নদীর দুই তীরে শুরু হয়েছে ভাঙ্গন। উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করার পরও থেমে নেই চক্রটি। ক্ষমতাসীন দলের নাম ব্যবহার করে কিছু দুষ্কৃতকারী নেতার নেতৃত্বে চলছে এই বালি উত্তোলন।
সাম্প্রতিক সময়ে এ বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনের সংবাদকর্মী মোস্তফা জাহেদকে মোবাইল ফোনে হত্যার হুমকি দেন ইউসুফ মেম্বারের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী। ঘটনার পর থেকে সাংবাদিক মোস্তফা জাহেদ ও তার পরিবার জীবনের ঝুঁকিতে রয়েছেন।
জানা গেছে, ইছামতি নদী থেকে অবৈধভাবে বালি তুলে গড়ে তোলা হচ্ছে অবৈধ বালিমহাল। অনেকে আবার ইজারা না নিয়েই ইচ্ছামতো বালি তুলছেন। ১ নং রাজানগর, পারুয়া, রাজারহাট বাজারের পাশ ঘেঁষে প্রবাহিত হয়েছে ইছামতি নদী। এভাবে বালি তোলায় হুমকির মুখে পড়েছে শত শত পরিবারের বসতভিটা।
এছাড়া রাজানগর, আবিদপাড়া, লালানগর ৭নং ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বালির ট্রাকের কারণে দেবে গিয়ে খানাখন্দে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, এমনকি অনেকে রাতের আঁধারে অবৈধভাবে মেশিনের সাহায্যে নদী থেকে বালি তুলে তাদের ইটভাটা, পুকুর ও বসতভিটা ভরাটসহ বালি বিক্রি করছেন। বর্তমানে বালি উত্তোলকচক্রের মূল হোতারা আড়ালে থেকে কৌশলে তাদের সহযোগীদের দিয়ে বালি উত্তোলন করছে।
এভাবে বেপরোয়া বালি উত্তোলনের প্রভাবে শত শত বসতবাড়ি ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে। এমন অবস্থায় এলাকাবাসী এদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদানের প্রস্তুতি নেয়।
সিপি