ইউসিবির এটিএম বুথ বন্ধ থাকবে রাত ১২টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত

রাত ১২টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) এটিএম বুথ বন্ধ থাকবে। সাইবার নিরাপত্তাজনিত কারণে সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) ব্যাংকের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।

উত্তর কোরিয়ার একটি হ্যাকার গ্রুপ বাংলাদেশে সাইবার হামলা করতে পারে— কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এমন সতর্কতা জারির পর ইউসিবি ব্যাংক রাতে এটিএম বুথ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এটি আবার চালু করা হবে।

ইউসিবির গ্রাহকদের কাছে পাঠানো এসএমএসে বলা হয়, সাইবার নিরাপত্তাজনিত কারণে আমাদের সব এটিএম বুথ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত রাত ১২টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। জরুরি প্রয়োজনে ১৬৪১৯ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে ওই এসএমএসে।

সংঘবদ্ধ হ্যাকার গ্রুপের হামলার আশঙ্কায় দেশের সবগুলো ব্যাংককে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। উত্তর কোরিয়াভিত্তিক একটি হ্যাকার গ্রুপ ‘বিগল বয়েজ’ দেশের ব্যাংকগুলোতে এই হামলা চালাতে পারে— এমন আশঙ্কায় অনলাইন লেনদেনে সর্বোচ্চ সতর্ক বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ইতিমধ্যে ব্যাংকগুলো আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে অনলাইন ব্যাংকিং সেবা সীমিত করেছে।

দেশের অনেক ব্যাংকের এটিএম বুথে অন্য ব্যাংকের গ্রাহকদের টাকা তোলার সুযোগ থাকলেও কোনো কোনো ব্যাংক এই সুবিধা আপাতত বন্ধ রেখেছে। এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার ছুটির দিনেও অনেক ব্যাংকের অনলাইন শাখা ও কার্ড ডিভিশনের কর্মকর্তারা অফিসে কর্মরত ছিলেন। ডাচ বাংলাসহ বেশ কয়েকটি ব্যাংক রাত ১১টার পর এটিএম লেনদেন বন্ধ রেখেছে।

একই ধরনের সাইবার হামলা চালিয়ে ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের বিপুল পরিমাণ অর্থ চুরি করা হয়েছিল। ওই সময় আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেমসের নিউইয়র্ক শাখায় থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার বা ৬৮০ কোটি টাকা চুরি হয়।

আলোড়ন তোলা সেই হ্যাকিংয়ে ভাইরাসবাহী যে ধরনের ম্যালওয়্যার সফটওয়্যার ব্যবহার করে টাকা চুরি হয়েছিল, এর মধ্যেই কোনো কোনো ব্যাংকের অনলাইন সিস্টেমে ওই ম্যালওয়্যার সফটওয়্যারের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক ইতিমধ্যে দেশের সবগুলো বাণিজ্যিক ব্যাংককে বিশেষ নির্দেশনা পাঠিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছাড়াও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এ ব্যাপারে নজর রাখছে। অন্যদিকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো অনলাইন ব্যাংকিং সেবা সীমিত করা ছাড়াও বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন পরিস্থিতিতে আলাদা করে নজরদারি করছে। কোনো কোনো ব্যাংক তাদের নিজস্ব কার্ড ছাড়া অন্য ব্যাংকের কার্ড বা আন্তর্জাতিক কার্ডের লেনদেন আপাতত স্থগিত রেখেছে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!