আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আনোয়ারা ও কর্ণফুলী থানা এলাকায় চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থীদের মনোনয়নকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে দু’পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে নগরীর আন্দরকিল্লাস্থ দক্ষিন জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষের এ ঘটনাটি ঘটে।
দক্ষিন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ ও ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘঠিত সংঘর্ষে দুই পুলিশ সদস্যসহ চারজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, সকালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আনোয়ারা ও কর্ণফুলী থানা এলাকায় চেয়ারম্যান ও সদস্য পদে নিজ নিজ গ্রুপের পছন্দের প্রার্থীদের নাম প্রস্তাব করা নিয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় আনোয়ারা ও কর্ণফুলী থানা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে কার্যালয়ের এসে হামলা চালায় এবং অফিসের ভেতরে ভাঙচুর চালায়।
সংঘর্ষের সময় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা কার্যালয়ের আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ভাংচুর ও পোস্টার-ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এতে নেতাকর্মীরা পুলিশের উপর চড়াও হয়ে পাথর নিক্ষেপ শুরু করে। পুলিশও ফাঁকা গুলিসহ কাদানে গ্যাস ছুঁড়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ চারজন নেতাকর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান। তিনি জানান, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে আজ সকালে আনোয়ারা উপজেলা ও কর্ণফুলী থানার চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নামের তালিকা ঘোষণার কথা ছিল। এর আগেই আনোয়ারা ও কর্ণফুলী থানা থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আকস্মিকভাবে হামলা ও ভাংচুর চালায়।
প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান জাবেদের অনুসারী আনোয়ারা উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী বলেন, তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা করে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন টাকার বিনিময়ে প্রার্থী নির্ধারণের জন্য তারিখ ঘোষণা করায় নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে উঠে। এতে বিক্ষুদ্ধ হয়ে নেতাকর্মীরা অফিসের সামনে বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে। এতে কর্ণফুলী এলাকার জামাল মেম্বারসহ ২ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
কোতোয়ালী থানার ওসি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘মনোনয়ন বঞ্চিত নেতাকর্মীরা আন্দরকিল্লাস্থ দক্ষিন জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৯ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও দুটি কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়েছে।’এখন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে নেতাকর্মীদের হামলায় দুই পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।