ইউনিসেফ ‘মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডের’ সংক্ষিপ্ত তালিকায় চট্টগ্রাম প্রতিদিনের রিপোর্ট

এ বছর জাতিসংঘের বিশেষ সংস্থা ইউনিসেফের ‘মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডে’ সেরা প্রতিবেদনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় মনোনয়ন পেয়েছেন দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনের প্রতিবেদক এস কে সাগর। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) আয়োজিত এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে মনোনয়নের তালিকাসহ পুরস্কারবিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত মূলধারার গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

বন্দরনগরী চট্টগ্রামের আনন্দবাজার এলাকায় বসবাসরত নদীভাঙা শিশুদের নিয়ে ‘আনন্দবাজারে ময়লার স্তূপের নিচে চাপা পড়ছে নদীভাঙা শিশুদের রঙিন স্বপ্ন, ময়লা ঘেঁটে সংসার চালায় শিশুরা’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনের জন্য চট্টগ্রাম প্রতিদিনের প্রতিবেদক এস কে সাগর ইউনিসেফের মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডের সংক্ষিপ্ত তালিকায় মনোনয়ন পান।

সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা তিনটায় শুরু হওয়া মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডের ১৬ তম আসরে ভার্চুয়ালি আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিশুদের বিষয়ে অসামান্য কাজের জন্য চলতি বছরের অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী ২১ জন গণমাধ্যমকর্মীর নাম ঘোষণা করা হয়। ইউনিসেফ বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট। তিনি বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর প্রতি জনসাধারণের মনোযোগ আকর্ষণে এবং শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে নীতিনির্ধারকদের জবাবদিহির সম্মুখীন করতে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ইউনিসেফ মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস শিশু সাংবাদিকদের প্রতিবেদনকেও স্বীকৃতি দেয়। যা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে শিশুদের জীবনকে প্রত্যক্ষভাবে প্রভাবিত করে এমন সব বিষয়ে শিশুদের সরাসরি কথা বলার সুযোগ করে দেওয়াটা কতখানি গুরুত্বপূর্ণ।’

দেশজুড়ে শিশুদের অধিকার এবং শিশুদের কল্যাণের সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়ে আরও ভালো ও বস্তুনিষ্ঠ প্রতিবেদন তৈরিতে অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্যই ইউনিসেফ বাংলাদেশ এই পুরস্কার চালু করে। চলতি বছর ২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২১ সালের ৩১ আগস্ট সময়কালের মধ্যে প্রকাশিত ও প্রচারিত প্রতিবেদনগুলো এই পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করা হয়। গত ১৪ সেপ্টেম্বর ছিল পুরস্কারের জন্য প্রতিবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন।

প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক, অনলাইন ও ভিজুয়াল মিডিয়ার জন্য ১৪টি ক্যাটাগরিতে দেওয়া হয় এই পুরস্কার। এ বছর যেসব ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো—

মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস (১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব)
শিশু অধিকারের বিষয়টিকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে সাংবাদিকতায় এমন প্রতিবেদনের জন্য:

১. টেক্সট (প্রিন্ট/অনলাইন) প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন ঢাকা ট্রিবিউন-এর কহিনুর খৈয়াম। দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছেন এনটিভি’র মো. খায়রুল বাশার আশিক। তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন যৌথভাবে নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকমের মো. বনি আমিন এবং দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-এর উম্মে মারজানা জুই।

২. ফটোগ্রাফি (প্রিন্ট/অনলাইন) ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন দৈনিক অধিকারের ইমরান হোসেন। দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছেন প্রথম আলোর দীপু মালাকার। তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন প্রথম আলোর মো. সাজিদ হোসেন। এ ক্যাটাগরিতে বিশেষ পুরস্কার পেয়েছেন দ্য ডেইলি স্টারের প্রবীর দাস।

৩. ভিডিও (টিভি/অনলাইন) ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন একাত্তর টিভির নাদিয়া শারমিন, দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছেন সময় টিভির মারজিয়া হাশমি মম এবং তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন জিটিভি’র ইসমাইল হোসেন জুয়েল।

শিশুদের মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস (১৮ বছরের নিচে)
শিশু অধিকারের বিষয়টিকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে সাংবাদিকতায় এমন প্রতিবেদনের জন্য:

৪. টেক্সট (প্রিন্ট/অনলাইন) ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের রাফসান নিঝুম, দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছেন প্রথম আলোর মো. সাজ্জাদুর রহমান এবং তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন আজকের গোপালগঞ্জের পিয়াল সাহা।

৫. ভিডিও (টিভি/অনলাইন) প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন এটিএন বাংলার আফরিন আক্তার, দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছেন এটিএন বাংলার ফাহমিদা ফাইজা স্বর্গ এবং তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন একই টেলিভিশনের তাহমিনা ফ্লোরা।

বিশেষ মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস (১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব)
শিশু অধিকারের বিষয়টিকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে সাংবাদিকতায় এমন টেক্সটভিত্তিক প্রতিবেদনের জন্য:

শিশুদের ওপর কোভিড-১৯-এর প্রভাব ক্যাটাগরিতে প্রথম আলোর মো. সামসুর রহমান; শিশুদের জন গণবিনিয়োগ ক্যাটাগরিতে দ্য ডেইলি স্টারের নিলিমা জাহান; ‘রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশুরা’ ক্যাটাগরিতে ঢাকা পোস্ট-এর আদনান রহমান; শিশুবিয়ের অবসান ক্যাটাগরিতে ঢাকা পোস্ট-এর জসিম উদ্দিন; জলবায়ু পরিবর্তন ও শিশুরা ক্যাটাগরিতে বাংলা ট্রিবিউনের সিনিয়র রিপোর্টার শাহেদ শফিক।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!