ইউজিসির মূল্যায়ন— ৪৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে দ্বিতীয় চবি, সাতে চমেক

২০২০-২১ অর্থবছরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) মূল্যায়নে দেশের ৪৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৯৩ দশমিক ৮ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। সপ্তম অবস্থানে আছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় আর চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় চুয়েটের অবস্থান ৩৯তম।

ইউজিসি বেশ কয়েকটি বিষয় পর্যালোচনা করে এ র‌্যাংকিং নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে- পিএইচডি, এমফিল, গবেষণা প্রতিবেদন, গবেষণা সম্প্রসারণ, প্রশিক্ষণ কর্মশালা, শ্রেণিকক্ষে পাঠদান, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনারের সংখ্যা এবং ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন।

সোমবার (৬ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূইয়া।

জানা যায়, সরকারি প্রতিষ্ঠানে সেবা প্রদানে গতিশীলতা আনয়ন, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সরকার ২০১৪-১৫ সাল থেকে দেশে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) চালু করে। ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ইউজিসি’র এপিএ স্বাক্ষর হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে ইউজিসি তার আওতাধীন সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এই চুক্তি স্বাক্ষর করে।

২০২০-২১ অর্থবছরের এপিএ বাস্তবায়নে সেরা ৩টি বিশ্ববিদ্যালয়কে ক্রেস্ট ও ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রশংসাপত্র প্রদান করবে ইউজিসি। এ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন মূল্যায়নে প্রথম হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

তারা পেয়েছে ৯৮.৩৮ নম্বর। ৯৩ দশমিক ৮ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ৯২.১৫ অর্জন করে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে কুয়েট।

এছাড়া ৮৭ দশমিক ৭ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ৮৬ দশমিক ৮ নম্বর নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, সপ্তম অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়, অষ্টম অবস্থানে রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, নবম অবস্থানে রয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, দশম অবস্থানে রয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম একটি প্রান্তিক জায়গা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আরও প্রান্তিক অঞ্চলে অবস্থিত। কিন্তু নানা চ্যালেঞ্জ থাকার পরও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। যার প্রমান আমাদের এই অর্জন৷ আমরা আগামীতে সবার শীর্ষে যেতে চাই।’

এমআইটি/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!