ইউএসটিসিতে দিনভর উত্তেজনা, শিক্ষক মাসুদ মাহমুদের পক্ষে-বিপক্ষে মানববন্ধন (ভিডিও)

শ্রেণিকক্ষে যৌন উত্তেজক কথা বলার অভিযোগ

শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের যৌন উত্তেজক কথা বলার অভিযোগ ওঠা ইউএসটিসির ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মাসুদ মাহমুদের অপসারণের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের একাংশ।

এ সময় তারা শিক্ষক মাসুদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও কতিপয় শিক্ষার্থীদের অসৎ উপায়ে সুযোগ সুবিধা দেওয়ারও অভিযোগ তোলেন। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে ইউএসটিসির প্রধান ফটকে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু সংখ্যক কর্মচারীকেও এ সময় বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন হাতে দেখা যায়।

অন্যদিকে, একই সময়ে শিক্ষার্থীদের আরেকটি অংশ শিক্ষক মাসুদ মাহমুদের পক্ষে বিভিন্ন ফেস্টুন নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে শ্লোগান দিতে থাকে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

মাসুদ মাহমুদের অপসারণ চাওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘ড. মাসুদ মাহমুদ স্যার আমাদের শত্রু নয়। তার প্রতি আমাদের সবসময় শ্রদ্ধাবোধ ছিল। কিন্তু ক্লাসে পাঠ্যবইয়ের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক নয় এমন যৌন উত্তেজনামূলক কথা বলার কারণেই স্যারের বিরুদ্ধে আমাদের এ প্রতিবাদ। আমরা তার কাছ থেকে এমন আচরণ প্রত্যাশা করিনি। তার আচরণে অভিভাবকরাও বিব্রত। আমরা অবিলম্বে তার অপসারণ দাবি করছি।’

সায়েমা (ছদ্ম নাম) শিক্ষার্থী বলেন, ‘স্যারের যৌন উত্তেজনামূলক কথাবার্তার বিষয়টি অনেকের পরিবারের কাছেও জানাজানি হয়েছে। আমার স্বামী আমাকে ক্লাসে না আসতে বলেছে। অনেকটা নিরুপায় হয়ে ক্লাসে আসতে হয়। স্যারের বিষয়টি নিয়ে আমরা যারা প্রতিবাদ করে আসছি তাদের চিহ্নিত করে রেখেছেন তিনি। চিহ্নিতদের কেউ ক্লাসে একদিন অনুপস্থিত হলেও তাকে হেনস্থা করেন তিনি। যারা স্যারের পক্ষে তারা অনুপস্থিত থাকলেও কোনো শাস্তি দেওয়া হয় না।’

ustc-teacher-masud-mahmud1

সিক্সথ্ সেমিস্টার পড়ুয়া শেখ রাসেল নামে এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, সোমবার (২৯ এপ্রিল) আমি পরীক্ষা দিয়েছি। এডমিট কার্ডও রয়েছে। কিন্তু পরীক্ষা শেষে মাসুদ স্যার বললেন আমি পরীক্ষা দিতে পারবো না। ওই শিক্ষার্থী আরো বলেন, ‘এর আগে স্যারের যৌন উত্তেজনামূলক কথাবার্তার বিষয়টি নিয়ে আমি প্রতিবাদ করায় আমাকে তার পক্ষে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার কথায় আমি রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন অজুহাতে আমাকে পরীক্ষা দিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। স্যারের কাছে এ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এটিকে অফিশিয়াল সিদ্ধান্ত বলে এড়িয়ে যান।’

এদিকে শিক্ষার্থীদের আরেকটি পক্ষ ‘আমরা মাসুদ স্যারকে চাই’ ফেস্টুন নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। তারা দাবি করেন মাসুদ মাহমুদের বিরুদ্ধে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।

মাসুদ মাহমুদের পক্ষ নেয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘মাসুদ মাহমুদ এর আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি নামকরা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেছেন। কিন্তু কখনো তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এটা স্যারের বিরুদ্ধে নিছক ষড়যন্ত্র।আমরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে স্যারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের অবিলম্বে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!