ইংরেজিতেই পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন বেশি চট্টগ্রামে

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় ৫২ হাজার ২৪৬টি উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছে শিক্ষার্থীরা। এবার আবেদনকারীর সংখ্যা ২০ হাজার ৫৫০ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে ইংরেজি বিষয়ে। তবে গত বছরের তুলনায় এবার মোট আবেদন বেশি জমা পড়েছে। যা গতবারের চেয়ে ৭ হাজার ৯৪৯টি বেড়েছে। আর আবেদনকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ১ হাজার ৩৬৭ জন।

গত ৩১ মে প্রকাশিত ফলাফলে যারা অকৃতকার্য হয়েছে অথবা আশা অনুযায়ী ফলাফল পায়নি তারাই শিক্ষাবোর্ডের নির্ধারিত সময়ে পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছেন।

সোমবার (৮ জুন) শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

শিক্ষাবোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরের তুলনায় এই-বার পাসের হার এবং জিপিএ দুটোই বেড়েছে। সে সুবাদে উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন কম হওয়ার কথা। কিন্তু এবার গত বছরের তুলনায় পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন সবচেয়ে বেশি জমা পড়েছে।

এবার সবগুলো বিষয়ের উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন জমা পড়েছে যা গত বছর ছিল মাত্র দশ বিষয়ের। এবার উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে ইংরেজি বিষয়ে। দুই বিষয়ে জমা পড়েছে মোট ৬ হাজার ৭৩৯টি। তারপর গণিত বিষয়। গণিতের আবেদন জমা পড়েছে ৪ হাজার ৭২৮টি তারপর আবেদন বেশি রসায়ন বিষয়ের। যা মোট ৪ হাজার ৩৩০টি।

এরমধ্যে জীববিজ্ঞানের ৩ হাজার ৫১৬টি, বাংলা দুই বিষয়ে মোট ৩ হাজার ২২৮টি, বিশ্বপরিচয়ের ৩ হাজার ৮৪টি, পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে ২ হাজার ৭৬৫টি, ইসলাম ধর্ম বিষয়ে ২ হাজার ৪০টি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে ১ হাজার ৯৮৪টি উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছে।

তাছাড়া, সাধারণ বিজ্ঞান বিষয়ে ১ হাজার ৫৮৫টি, উচ্চতর গণিত বিষয়ে ১ হাজার ৩৬৬টি, হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ে ১ হাজার ২৮৭টি, কৃষি শিক্ষা বিষয়ে ১ হাজার ২৮৪টি, ব্যবসায় উদ্যোগ বিষয়ে ১ হাজার ১৬৯টি, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিংয়ের ১ হাজার ৫৯টি উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করা হয়েছে।

ভুগোল বিষয়ে জমা পড়েছে ৭৫১টি, হিন্দু ধর্ম বিষয়ে ৪৯৯টি, খৃষ্টান ধর্ম ৫টি, বৌদ্ধ ধর্ম বিষয়ে ১৫৩টি, পৌরনীতির জন্য ১৮৩টি, অর্থনীতির জন্য ৫০টি, গার্হস্থ্য বিজ্ঞানের ১৮৬টি এবং বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা বিষয়ে ২৮৫টি আবেদন জমা পড়েছে।

এদিকে, ২০১৯ সালে এসএসসি পরীক্ষায় ৪৪ হাজার ২৯৭টি উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করে ১৯ হাজার ১৮৩ জন শিক্ষার্থী। তাই এবার উত্তরপত্র আবেদনের সংখ্যা আগের চেয়ে বেশি।

প্রসঙ্গত, এবার চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ১৯৬টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৪৮টি প্রতিষ্ঠানের মোট ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯৬ জন পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেয়। যা গতবারের চেয়ে ৫ হাজার ৭৭৭ জন কম। এর মধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ২১ হাজার ৮৮৮ জন শিক্ষার্থী। সব মিলিয়ে গত বছরের তুলনায় পাসের হার এবং জিপিএ ৫ দুটোই বেশি। গত বছর যা ছিল ৭৮ দশমিক ১১ শতাংশ। এ বছর পাসের হার ৮৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

এসআর/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!