আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরলেও গ্রেপ্তার না করার অভিযোগ

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে আইনজীবী ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলার ঘটনায় করা মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।

মামলার বাদী উত্তর কলাউজানের বাসিন্দা অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দীন বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে ভাঙচুর লুটপাট ও আমার বৃদ্ধা মাকে মারধর এবং আমার ছোট ভাইকে সন্ত্রাসীরা মারাত্মকভাবে জখম করলে আমি লোহাগাড়া থানায় মামলা দায়ের করি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে মামলা রেকর্ড হওয়ার পরেও সন্ত্রাসীরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরলেও রহস্যজনকভাবে তারা গ্রেপ্তার হচ্ছে না। এতোদিন তারা গ্রেপ্তার না হওয়ায় আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

জানা গেছে, কলাউজান ইউনিয়নের ইদ্রিস চেয়ারম্যান বাড়ির আব্দুর রশিদের ছেলে অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দীনের সঙ্গে একই এলাকার মফিজুর রহমানের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস, ইউনুছ ও আক্তারুজ্জামানের সাথে বিরোধ চলছিল। এর জেরে গত ১৭ মে তারা তিনজনসহ বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী নিয়ে অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দীনের বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট চালায় এবং শিহাবের মা, ভাই ও তাকে মারাত্মকভাবে আহত করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর আইনজীবী শিহাব বাদী হয়ে লোহাগাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার না করার বিষয়ে লোহাগাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদ বলেন, আসলে কোর্ট ও আসামি গ্রহণ করতেছে না। এছাড়া আমরা লকডাউনের কারণে খুবই ব্যস্ত আছি। তার পরেও আসামীদের ধরার চেষ্টা অব্যাহত আছে।

চট্টগ্রাম বার সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন বাবলু চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, রহস্যজনক কারণে প্রথমে মামলা নিতে চায়নি পুলিশ। পরে আমি কল করার পর মামলা রেকর্ড করলো। মামলা রেকর্ডের পরও পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার না করাটা দুঃখজনক। আমি আসামিদের গ্রেপ্তার করতে জোর দাবি জানাচ্ছি।

সাতকানিয়া আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এপিপি মেজবাহ উদ্দীন আহমদ চৌধুরী কচির বলেন, আসলে একজন আইনজীবী ও তার বৃদ্ধা মা ও ভাইকে রক্তাক্ত করার পরেও যদি আসামি গ্রেপ্তার না হয় এর চেয়ে দুঃখের বিষয় কি আছে? আমি সাতকানিয়া আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!