আল্লামা শফীর লাশ নিয়ে রাজনীতি করছে দালালরা— হেফাজতের ক্ষোভ

দালাল গোষ্ঠী তাদের হীন স্বার্থ উদ্ধারে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক আমির শাহ আহমদ শফীর লাশ নিয়ে রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ করেছেন সংগঠনটির নায়েবে আমিররা।

শনিবার (১৬ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে নায়েবে আমিররা বলেন, আহমদ শফীর স্বাভাবিক মৃত্যুকে অস্বাভাবিক আখ্যা দিয়ে মিথ্যা মামলা করে একটি কুচক্রী মহল কওমী অঙ্গনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে।

তারা বলেন, ‘আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যু স্বাভাবিক হয়েছিল— এটি একটি মীমাংসিত বিষয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ইস্যুকৃত ডেথ সার্টিফিকেটেও তার মৃত্যুকে স্বাভাবিক বলা হয়েছে যা দেশবাসীর সামনে দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট।’

তারা আরও বলেন, ‘আহমদ শফীর ইন্তেকালে দেশের আলেমসমাজ, মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক ও ধর্মপ্রাণ জনসাধারণ যখন গভীরভাবে শোকাহত, তখন তার মৃত্যু নিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের যে অপচেষ্টা করা হচ্ছে সকলের কাছে তা স্পষ্ট হয়ে গেছে।’

একটি নির্দিষ্ট দালাল গোষ্ঠী তাদের হীন স্বার্থ উদ্ধারে আল্লামা আহমদ শফীর লাশ নিয়ে রাজনীতি করছে উল্লেখ করে হেফাজত আমিরবৃন্দ বলেন, ‘কওমী অঙ্গনে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে মাদ্রাসা বন্ধ করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে।’

বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, মাওলানা আনাস মাদানীর (আল্লামা শফীর ছেলে) দীর্ঘদিনের স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম, ছাত্র-শিক্ষকদের প্রতি জুলুম-নির্যাতন, নানা দুর্নীতি ও ছাত্রদের নানাভাবে হয়রানির কারণে বিক্ষুব্ধ হয়ে ছাত্ররা তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছে। যার প্রত্যক্ষ সাক্ষী মাদ্রাসার শুরার সদস্য, শিক্ষকমণ্ডলী, কর্মচারীবৃন্দ, প্রশাসন ও স্থানীয় জনগণ। কিন্তু হযরতের (আহমদ শফী) মৃত্যুর তিন মাস পর একটি স্বার্থান্বেষী মহল দেশ এবং জাতিকে বিভ্রান্ত করার জন্য তার মৃত্যুকে অস্বাভাবিক আখ্যায়িত করে ৩৬ জন আলেমের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও চক্রান্তমূলক মামলা করেছে। দায়েরকৃত মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে এবং বিবরণে যাদেরকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, তারা কেউ এর সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।

সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে হেফাজতের নায়েবে আমিরবৃন্দ বলেন, বিচ্ছিন্ন সুবিধাবাদী গোষ্ঠী থেকে দূরে থাকুন এবং অনতিবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বাধ্য হবে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!