প্রতিদিন ডেস্ক : হেফাজতে ইসলামের আমির শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফীর শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে।
শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালের সিনিয়র ম্যানেজার মোতাহার হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘হেফাজত আমির আল্লামা শফীর শারীরিক অবস্থা আগের মতই রয়েছে, অপরিবর্তিত। ডাকলে মাঝে মাঝে চোখ মেলে তাকান। শরীরে অনেক হাই-পাওয়ারের ওষুধ চলছে। এজন্য তিনি বেশিরভাগ সময় ঘুমিয়ে থাকছেন।’
মোতাহার হোসেন বলেন, ‘আল্লামা শফীকে এখনো অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। তবে সেটি খুব সামান্য। বেশিরভাগ সময় তিনি নিজে শ্বাস নিতে পারছেন।’
আল্লামা শফীর সুস্থ হতে আরো কয়েক দিন লেগে যাবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে আল্লামা শফীর মৃত্যুর গুজবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তার পরিবার। একইসঙ্গে গুজবে কান না দিয়ে তার জন্য দোয়া চেয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
রাজধানীর পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. জাবরুল এসএম হকের নেতৃত্বে আট সদস্যের মেডিকেল টিম গঠন করে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর উন্নত চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বার্ধক্যজনিত শারীরিক দুর্বলতা ছাড়া তার আর কোনো রোগ নেই বলে জানিয়েছে এই মেডিকেল টিম।
শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় চট্টগ্রাম থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত অ্যাম্বুলেন্স হেলিকপ্টারে গত ৬ জুন আল্লামা শফীকে ঢাকায় আনা হয়।
চট্টগ্রাম মহানগরীর সিএসসিআর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শারীরিক দুর্বলতা অনুভব করায় আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে গত ১৮ মে প্রাইভেট হাসপাতালটিতে ভর্তি করা হয়। সেখানে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. গোফরানুল হক, নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. হাসানুজ্জামান এবং হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ইবরাহীম চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে হেফাজত আমিরকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সিএসসিআর হাসপাতালে হেফাজত আমিরের রক্তচাপ বার বার কমে যাওয়ায় এবং ফুসফুসে পানি দেখা যাওয়ায় ২১ মে থেকে তাকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে চট্টগ্রামের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে তার শরীরে পেসমেকার স্থাপন করা হয়। এতে রক্তচাপ স্বাভাবিক ও ফুসফুসের পানি সরে গেলেও শারীরিক দুর্বলতা স্বাভাবিক হচ্ছিল না।
গত ১ জুন হেফাজত আমিরকে আইসিইউ থেকে সাধারণ কেবিনে আনার তিন দিনের মাথায় শারীরিক অবস্থার অবনতি ও ফের ফুসফুসে পানি জমে শ্বাস কষ্ট দেখা দেয়। ফলে তাকে আবারো তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। এরপরই আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য আল্লামা শফীকে ঢাকায় আনা হয়।